অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল শ্রীলঙ্কা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে অজিদের ২৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৪ রানে জয় পেল স্বাগতিকরা।
এই জয়ের সুবাদে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে লঙ্কানরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে ১ রানে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার নিরোশান ডিকভেলা।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান তুলতেই সাজঘরের পথ ধরেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। প্যাট কামিন্স ফেরান মেন্ডিসকে ১৪ রানে আর আর মিচেল মার্শের শিকার হয়ে ১৩ রানে ফেরেন নিশাঙ্কা।
দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের মিশনে নামেন চারিথ আশালাঙ্কা। দুজনে মিলে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে ফেরান ট্র্যাকে। দলীয় ১৩৫ রানে ধনঞ্জয়া ৬০ রান করে মাঠ ছাড়লেও উইকেট কামড়ে ধরে রানের চাকা সচল রাখেন আশালাঙ্কা।
উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে সাড়া না মিললেও ৯৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতক তুলে নেয়ার পাশাপাশি তিনি দলকে পার করান ২৫০ রানের কোঠা। দলীয় ২৫৬ রানে আশালাঙ্কা বিদায় নেয়ার পর দলের স্কোর আর বেশিদূর এগুতে পারেনি। ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন-আপ।
শেষতক ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।
অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ ও ম্যাথিউ কুনেম্যান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেন একটি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় অজিরা। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরতে হয় মিচেল মার্শ (২৬), মার্নাস ল্যাবুশেইন (১৪), অ্যালেক্স ক্যারি (১৯), ট্রাভিস হেডকে (২৭)।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তিনি ব্যাট ছুটান সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু তারকা এই ব্যাটারকে মাঠ ছাড়তে হয় এক রানের হতাশা নিয়ে।
ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে পরাস্ত হন ওয়ার্নার। উইকেটের পেছনে থাকা ডিকিভেলার স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে একবুক হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপরই বলতে গেলে জয়ের আশার প্রদীপ নিভু নিভু হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। শেষ দিকে প্যাট কামিন্সের ৩৫ ও ম্যাথিউ উ কুনেম্যানের ১৫ রানে ভর করে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। চার রানের হার সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। একইসঙ্গে সিরিজ ঘরে তোলে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।