ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সাদা পোশাকে জাতীয় দলের টানা ব্যর্থতায় প্রশ্নবিদ্ধ ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং প্যানেল। নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এরপর সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ; সবগুলো সিরিজের কোনো না কোনো টেস্টে বিপর্যয়ের সন্মুখীন হয়েছে জাতীয় দলের ব্যাটিং অথবা বোলিং ইউনিট।
ব্যর্থতার বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ বলা হয়। তবে সেই সমস্যাগুলো সমাধানে দৃশ্যত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। দলের পারফরম্যান্স তেমনটাই ইঙ্গিত করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যর্থতায় ডুবে ছিল জাতীয় দলের ব্যাটিং ইউনিটের প্রায় সবাই। বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে কোচের পক্ষে দায় দেয়া হয়েছিল ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসের অভাবকে। আর অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির সঙ্গে যুক্ত করেন টেকনিক্যাল জ্ঞানের অভাব।
এ ছাড়া ব্যর্থতার কারণ নানান সময় নানানভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। এসবের পাশাপাশি ভিন্ন বিষয়কে সামনে এনেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান। ক্রিকেটারদের মানসিক চাপের কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করছেন ‘গণমাধ্যমকে’।
আকরামের মতে বাজে পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ করলে সেটি গিয়ে চাপ তৈরি করে ক্রিকেটারদের মনে। যার প্রভাব পড়ে মাঠের খেলায়। ফলে পারফরম্যান্স হয় খারাপ।
আর সে কারণেই ভালো পারফরম্যান্স করতে হলে খেলোয়াড়দের গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিচালক।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টেস্ট বিপর্যয়ের বিষয়ে কথা বলেন বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে হবে। যদি তারা বেশি চাপ নিয়ে নেয়, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে না। আমাকে রান করতেই হবে, এমন ভাবনায় কাজ হবে না।
'খেলার সময়ে প্লেয়ারদের মিডিয়াকে অ্যাভয়েড করতে হবে। এ জিনিসটা করলে ভালো হয়। ভারত যখন চ্যাম্পিয়ন হয়, তার আগে এক বছরের মতো সময়ে ক্রিকেটারদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেখিনি। দল যদি খারাপ করে তাহলে মিডিয়ার নিউজগুলো পড়লে মানসিক চাপটা আরও বেড়ে যায়। সে জন্য ক্রিকেটারদেরকে মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।’