আগামী নভেম্বরে মাঠে গড়াবে ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের আসর বসতে যাচ্ছে কাতারে। এই বিশ্ব ক্রীড়া আয়োজনে ১২ লাখ দর্শককে রাখা হবে ঐতিহ্যবাহী তাঁবুতে। এমনটাই চিন্তা করছে আয়োজক দেশ।
টুর্নামেন্টের স্থানীয় আয়োজক কমিটির আবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ওমর আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের আবাসনের জন্য এটি একটি বিকল্প। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা দৃশ্যমান হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে বাস্তব ক্যাম্পিং। আমরা অতিথিদের সাধারণ বেদুইনদের আদলে মরুভূমিতে বসবাসের অভিজ্ঞতা দিতে চাই। ওই তাঁবুতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের পাশাপাশি থাকবে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। তবে ওই দেশের খরতাপের ভোগান্তি এড়াতে থাকবে না কোনো শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।’
মধ্যপ্রাচ্যের খরতাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম টুর্নামেন্টটি স্বাভাবিক সময় থেকে পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর মাঠে গড়াবে এই আসর। পর্দা নামবে ১৮ ডিসেম্বর।
তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ ধনী দেশটিতে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগের জন্য আসা দর্শকদের আরও ২০০ বিলাসবহুল তাঁবু স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের দক্ষিণে মরুভূমির কাছাকাছি সিলাইন সমুদ্রসৈকত এলাকায় এগুলো স্থাপন করা হবে বলে জানান জাবের। তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপ চলাকালে দর্শকদের জন্য এক লাখেরও বেশি রুমের ব্যবস্থা করতে চাই।
বিশেষভাবে তৈরি করা পরিকল্পিত গ্রাম, অ্যাপার্টমেন্ট, ভিলা ও দুটি ক্রুজশিপের মধ্য থেকে যেকোনোটা থাকার জন্য বেছে নিতে পারবেন দর্শকরা। ইতোমধ্যে দেশটির সিংহভাগ হোটেলের রুমগুলো বুকিং দিয়ে রেখেছে আয়োজকরা। যেখানে ফুটবল দল, রেফারি, গণমাধ্যম ও ফিফা কর্মকর্তারা অবস্থান করবেন।
ওমর আল জাবের বলেন, অনেক হোটেল এখনও নির্মাণাধীন। কয়েক মাসের মধ্যে সেখান থেকে আরও কক্ষ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা।’