অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬২ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান।
৬০ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত মাহমুদুল হাসান জয়। ৮ রান করে উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের বিপরীতে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, চেষ্টা করা করা হবে আড়াই শ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দিতে। সাকিবের আশানুরূপ চেষ্টাটাও করেছেন খালেদ-এবাদতরা।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদ আহমেদ বলেন, ‘উনি (সাকিব আল হাসান) আমাদেরকে বলেছিলেন আরও কমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আউট করতে। হয়তো ১০-২০ রান বেশি হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ্! যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। উইকেট খুবই ভালো। বোলারদের জন্য এতটাও সহজও না। আশা করছি আমাদের ব্যাটাররা ভালো খেলবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণে খেলা থাকলেও সাকিবের দল এখনই ছেড়ে দিতে রাজি নয়। ব্যাটারদের ওপর ভরসা করে ৫ দিন পর্যন্ত খেলতে চান টাইগাররা।
খালেদ বলেন, ‘আমরা খেলব জেতার জন্য। আমরা চেষ্টা করব খেলাটা যেন ৫ দিনে গিয়ে শেষ হয়।
‘প্রথম দিনের উইকেটে একটু ময়েশ্চার (আর্দ্রতা) ছিল। দ্বিতীয় দিনে একটু ড্রাই (শুষ্ক) হয়েছে। সাকিব ভাই উইকেট সম্পর্কে আগেই বলেছেন। আমরা সেই মোতাবেক বল করার চেষ্টা করছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দুই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন খালেদ। সেঞ্চুরির পথে ছোটা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোকা বানিয়ে আউট করেন ৯৪ রানে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা জার্মেইন ব্ল্যাকউডকেও নিজের শিকার বানান খালেদ। সব মিলিয়ে ২২ ওভার বল করে ৫৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন মূল্যবান ২ উইকেট।
নিজের বোলিং সম্পর্কে খালেদ বলেন, ‘প্রথমত আলহামদুলিল্লাহ। আমি চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেয়ার। যেহেতু আমি শেষ দুটি ম্যাচ ভালো খেলতে পারিনি, তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম এই ম্যাচে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার।
‘সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে যেমন নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিলাম, এখানে আমি সেটা পারিনি। পারলে ভালো লাগত।’