অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের চেয়ে ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৬২ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫০ রান।
৬০ বলে ১৮ করে অপরাজিত রয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৮ রান করে দিনশেষে উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের বিপরীতে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২ উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন উইন্ডিজের রানের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়নি সফরকারী বোলারদের পক্ষে।
ফলে অল্প সময়ের লিড পায় ক্যারিবীয়রা। দলকে লিড এনে দেয়ার পথে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ব্র্যাথওয়েইট। এরপর বোনারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালানো শুরু করেন সেঞ্চুরির দিকে।
কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টাতেই ব্রেক থ্রু আনেন সাকিব। এনক্রুমাহ বোনারকে সরাসরি বোল্ড করে পতন ঘটান ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেটের। সাকিবের বলে স্টাম্প হারিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে বোনারের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির আগে উইন্ডিজের আর কোনো উইকেট তুলে নেয়া সম্ভব হয়নি বাংলাদেশি বোলারদের পক্ষে।
তবে বিরতি থেকে ফিরেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি থেকে ছয় রান দূরে থাকতে খালেদ হোসেন ফেরান ব্র্যাথওয়েইটকে। এই শুরু। এরপর অল্পতেই ফিরে যেতে হয় কাইল মায়ার্সকে।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আরও একটি সফলতা পায় বাংলাদেশ। মিরাজ তুলে নেন জশুয়া ডি সিলভাকে। আর তাতেই পতন ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ষষ্ঠ উইকেটের।
দিনের শেষ সেশনের পুরোটা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাঠে থাকতে দেয়নি বাংলাদেশ। ২৬৫ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। যার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ১৬২ রানের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের শিকার বনে ৩১ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তামিম ইকবালকে।
স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ করতেই জোসেফের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। এরপর শান্ত আর জয় শক্ত হাতে হাল ধরলে দিনের শেষ মুহূর্তে এসে আর কোনো বিপদ হয়নি বাংলাদেশের। ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলে দিন শেষ করে সফরকারীরা।