নিজেদের গড়া বিশ্বরেকর্ড আরও একবার ভাঙল ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে ৪৯৮ রান বোর্ডে তুলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০১৮ সালে ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টেলফিনে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক দল। তিন সেঞ্চুরি ও এক ঝড়ো ফিফটিতে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে পাঁচ শর কাছাকাছি স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড।
ইনিংসের নবম বলে জেসন রয়কে ১ রানে ফেরান শেন স্নেটার। তখনও মনে হচ্ছিল নেদারল্যান্ডসের আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত সঠিক।
ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে দেয় ফিল সল্ট ও ডাউয়িড মালানের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ২৮.১ ওভারে ২২২ রান যোগ করেন দুই ইংলিশ ব্যাটার। দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলতে সল্ট খেলেন ৮২ বল। তার ১২২ রানের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও ১৪টি চার। অন্যপ্রান্তে মালানও দেখা পান প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির। তার শতরান আসে ৯০ বলে।
১২৫ রানে আউট হওয়ার আগে জস বাটলারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৮৪ রান যোগ করেন মালান। তার ১২৫ রান করার পথে তিনি হাঁকান ৯টি চার ও তিনটি ছক্কা।
মালানের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন জস বাটলার। ৪৭ বলে পূর্ণ করেন দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ৭০ বলে ১৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১৪টি ছক্কা ও সাতটি চার।
বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। স্ট্রাইক রেটে তিনি বাটলারকেও পেছনে ফেলেন। ২২ বলে ছয় ছক্কা ও ছয় চারে ৩০০ স্ট্রাইক রেটে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন লিভিংস্টোন। তার হাফ সেঞ্চুরি আসে ১৭ বলে।
নেদারল্যান্ডসের বোলারদের মধ্যে ঝড় সবচেয়ে বেশি বয়ে গেছে ফিলিপে বোইসফিনের ওপর দিয়ে। ১০ ওভারে ১০৮ রান দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে শত রান দেয়া সপ্তম বোলারে পরিণত হন এ লেগস্পিনার। ছক্কা খেয়েছেন সাতটি।
স্নেটার উইকেট পেলেও ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৯৯। ডাচদের অধিনায়ক পিটার সিলার ২টি উইকেট নেন। ৯ ওভারে রান দেন ৮৩।