চার বছর পর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাস্কেটবল লিগ এনবিএর শিরোপা জিতেছে গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স। বেস্ট অফ সেভেন সিরিজের ফাইনালের ৬ষ্ঠ ম্যাচে ১০৩-৯০ পয়েন্টে বোস্টন সেল্টিকসকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে ওয়ারিয়র্স।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পায় ওয়ারিয়র্স। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে দারুণ ভাবে সিরিজে ফেরে সেল্টিকস। তাদের সামনে সম্ভাবনা জাগে ২০০৮ সালের পর শিরোপা জয়ের।
কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে স্বরূপে ফেরেন ওয়ারিয়র্সের সেরা তারকা স্টেফ কারি। তার অনবদ্য পারফরম্যান্সে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরায় ওয়ারিয়র্স। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।
টানা তিন ম্যাচ জিতে ৪-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ওয়ারিয়র্স। শেষ ম্যাচেও জ্বলে ওঠেন কারি।
তৃতীয় কোয়ার্টার শেষে ম্যাচে ৭৬-৬৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল ওয়ারিয়র্স। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টারে ২৭-২২ পয়েন্টে তাদেরকে পেছনে ফেলে সেল্টিকস।
এরপরই ম্যাচ নিজের করে নেন স্টেফ কারি। আবারও প্রমাণ দেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ফাইনালে ৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেন কারি। রিবাউন্ড নেন ৭টি আর অ্যাসিস্ট করেন ৭টি।
ফাইনাল সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন ওয়ারিয়র্সের এ পয়েন্ট গার্ড। ফাইনালে তার ম্যাচ প্রতি গড় ছিল ৩১.২ পয়েন্ট। ৬টি রিবাউন্ড ও ৫টি অ্যাসিস্ট।
কারির নৈপূণ্যে গত ৮ বছরে ৪টি শিরোপা জিতেছে ওয়ারিয়র্স। গত দুই মৌসুম ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করেছেন কারি। সবশেষে এবারের মৌসুমে চাঙ্গা হয়ে দলকে জেতালেন শিরোপা।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়ার পর কারি সে স্মৃতিগুলোই রোমন্থন করেন। চোট কাটিয়ে আবারও সেরা ছন্দে ফিরতে পারবেন কিনা সেটা নিতে তার মনে ছিল শঙ্কা।
কারি বলেন, ‘গত ৩ বছর, প্লে-অফের শেষ দুই মাস আর সবশেষ ৪৮ ঘণ্টার প্রতিটা মুহূর্ত আমি খুব আবেগী হয়ে পড়েছি। মাঠ ও মাঠের বাইরে খুব কঠিন সময় পার করেছি। সবকিছুকে সঙ্গে নিয়েই স্বপ্নকে বাস্তবতায় পরিণত করার লড়াইয়ে আমরা সবাই নেমেছিলাম। যে কারণে আমার কাছে এ শিরোপাটা ভিন্নরকম।’