প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের জবাবে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৫ রান।
৪২ রানে অপরাজিত রয়েছেন ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। তাকে ১২ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন নিমিরাহ বুনার।
বাংলাদেশের সীমিত পুঁজির জবাবে ব্যাট করতে নেমে উইকেট না হারালেও বেশ চাপেই ছিল স্বাগতিকরা। মুস্তাফিক-এবাদতরা মিলে শুরু থেকেই লাগান টেনে ধরে রেখেছিলেন ক্যারিবীয়দের রানের চাকায়।
ইনিংসের প্রথম রানের দেখা পেতে স্বাগতিকদের অপেক্ষা করতে হয় ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। ম্যাচের ৫.৫ ওভারে গিয়ে প্রথম রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
রানের লাগাম টেনে ধরলেও উইকেটের দেখা মিলছিল না টাইগার বোলারদের। যে কারণে বারবার বোলিং আক্রমণে ভ্যারিয়েশন আনছিলেন দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু তাতেও দেখা মিলছিল না উইকেটের।
ম্যাচের ২৫তম ওভারে এসে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজ। ক্যাম্পবেলকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে পরাস্ত করে পতন ঘটান ক্যারিবীয়দের প্রথম উইকেটের।
এরপর রায়মন রিফারকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন ব্রেইথওয়েট। চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে প্রতিহত করতে থাকেন টাইগার বোলারদের। তবে রিফারকে সঙ্গে নিয়ে তার পথচলাটা বেশি সময়ের জন্য হয়নি।
দলীয় ৭২ ও ব্যক্তিগত ১১ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। এরপর দিনের শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন ব্রেইথওয়েট ও বুনার।
ব্রেইথওয়েটের হার না মানা ৪২ ও বুনারের ১২ রানে ভর করে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়কে সঙ্গী করে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানের পুঁজি দাঁড় করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। ২৯ করেন তামিম আর লিটন খেলেন ১২ রানের ইনিংস।
বাকিদের সাজঘরে ফিরতে হয়েছে এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই। শুধু তাই নয়। বাকি সাত ব্যাটারের ভেতর ৬ জনই মাঠ ছেড়েছে রানের খাতা খোলার আগেই।
আর তাতে করেই তৃতীয় বারের মতো এক ইনিংসে ছয় ডাকের নজির স্থাপন করল বাংলাদেশ। লজ্জার এই রেকর্ডে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যারা কিনা একাধিকবার এই পরিস্থিতির সন্মুখীন হয়েছে। তাও এর ভেতর দুইবার বাংলাদেশকে এমন লজ্জায় পরতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।