অ্যান্টিগা টেস্টের দেড় সেশনেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে প্রথম ইনিংসে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই কিমার রোচ-আলজারি জোসেফদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে বাংলাদেশের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রোচ।
এরপর আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল হন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক। দুই জনই ফেরেন শূন্য রানে।
উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তামিম। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে নাম লেখান পাঁচ হাজারি ক্লাবে। চলতি ম্যাচের আগে অনন্য এই মাইলফলক স্পর্শের জন্য বাঁহাতি এ ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান।
তবে রেকর্ডের পর দলকে বেশি দূর টেনে নিয়ে যতে পারেননি তামিম। ৪৩ বলে ২৯ রান করে জোসেফের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না লিটন দাসের পক্ষে। পরের ওভারের চতুর্থ বলে মায়ার্সের শিকার বনে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি।
এক বল পর শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরার মিছিলে শামিল হন নুরুল হাসান সোহানও। আর তাতেই প্রথম ঘণ্টাতেই ৪৫ রান তুলতে ৬ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে নেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। এই দুজনে মিলে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি বাংলাদেশের।
তবে বিরতি থেকে ফিরে সেই চিরচেনা রূপ। এবারে শুরুটা হয় মিরাজের হাত ধরে। ২২ বল খেলে ২ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই সিলসের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এর ফলে আরও একবার দলীয় সংগ্রহ ১০০ রান হওয়ার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে বাংলাদেশের।
কিন্তু সেই শঙ্কাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলকে টেনে তোলার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন সাকিব। ক্যারিয়ারের ২৮ তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পাশাপাশি দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করেন তিনি।
তবে ব্যক্তিগত ৫১ রানে আলজারি জোসেফের শিকার বনে মাঠ ছাড়ার পর দলকে আর বেশিদূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বাকিদের পক্ষে। যার ফলে ১০৩ রান তুলতেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংসের চাকা।
উইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সিলস ও জোসেফ। আর দুটি করে উইকেট যায় রোচ ও মায়ার্সের ঝুলিতে।