ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ১৫ ওভারেই সফরকারীরা হারিয়েছে ছয় উইকেট। বিপরীতে তারা স্কোরবোর্ডে পুঁজি পেয়েছে ৪৫ রানের। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লড়াই করছেন মেহেদী মিরাজকে সঙ্গী করে।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭৬। শেষ ১০ ওভারে উইকেট হারাতে হয়নি তাদের।
উইকেট পতনের শুরুটা হয় ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাত ধরে। এরপর বাংলাদেশ ১৫ ওভার খেলতেই হারায় ৬ ব্যাটারকে।
এই ৬ ব্যাটারের ভেতর চারজন সাজঘরে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
অ্যান্টিগায় ম্যাচের শুরু থেকে কিমার রোচ-আলজারি জোসেফদের সামনা করতে বিপাকে পড়তে হয় টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে বাংলাদেশের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রোচ।
এরপর আসা যাওয়ার মিছিলে শামিল হন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক। দুই জনই ফেরেন শূন্য রানে।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তামিম। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে নাম লেখান পাঁচ হাজারি ক্লাবে। চলতি ম্যাচের আগে অনন্য এই মাইলফলক স্পর্শের জন্য বাঁহাতি এ ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান।
দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যতে পারেননি তামিম। ৪৩ বলে ২৯ রান করে জোসেফের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না লিটন দাসের পক্ষে। পরের ওভারের চতুর্থ বলে মায়ার্সের শিকার বনে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি।
এক বল পর শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরার মিছিলে শামিল হন নুরুল হাসান সোহানও। আর তাতেই প্রথম ঘণ্টাতেই ৪৫ রান তুলতে ৬ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।
স্বাগতিকদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রোচ ও মায়ার্স। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন সিলস ও জোসেফ।