এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্রথম তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স জানান দিচ্ছিল অন্য এক বাংলাদেশের। ইন্দোনেশিয়া, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে হারলেও মাঠের লড়াইটা দেখার মতো ছিল কাবরেরা শিষ্যদের।
বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে হুট করেই কোনো এক অজানা কারণে বাংলাদেশ ফিরে গেল আগের রূপে। খাপছাড়া আক্রমণ, দুর্বল ডিফেন্সে মালয়েশিয়ার বিপক্ষের ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ারা খেই হারিয়ে ফেলেন।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হার হয়েছে বাংলাদেশের। মালয়েশিয়ার দেয়া তিনটি গোলই বাংলাদেশ হজম করেছে নিজেদের ভুলে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত থাকতে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বাজে খেলে হারার কারণে নিজের হতাশার কথা অকপটেই জানিয়ে দিলেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। পুরো ম্যাচেই খেলোয়াড়রা নিজেদের খুঁজে পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাবরেরা বলেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা জানতাম ওরা শুরু থেকে আক্রমণ করবে এবং ওদের আটকে রাখতে হবে, কিন্তু মালয়েশিয়া ছিল খুবই ইম্প্রেসিভ।
‘পেনাল্টির পর আমরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলাম, যদিও ম্যাচের কোনো মুহূর্তেই আমরা নিজেদের খুঁজে পাইনি।’
বাংলাদেশের কোচের মতে, প্রথমার্ধে এক গোল খেয়েও সেটি শোধ করে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তের গোল আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর গোলটিই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল খেলাম এবং এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটি গোল খাওয়ায় ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে ভালো ছিল এবং চমৎকার খেলেছে; তাদেরকে প্রশংসা করতেই হবে।’
ম্যাচপূর্ব সংবাদসম্মেলনে কাবরেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমে চাপে থাকবে মালয়েশিয়া।
ঘরের মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি মালয়েশিয়াকে আলাদা চাপে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি, কিন্তু উল্টো বাংলাদেশই যেন সেই চাপে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে একেবারেই। খালি চোখেই সেটি ছিল স্পষ্ট, কিন্তু কাবরেরা সেটি মানতে নারাজ।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না দর্শকের উপস্থিতির কারণে আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর চাপ ছিল। আমি শুরুতেই বলেছিলাম, এমন আবহের মধ্যে খেলার জন্য আমাদের ছেলেরা অনুপ্রাণিত, দর্শকের উপস্থিতি আমাদের শক্তি দেবে। আসলে মালয়েশিয়া আমাদের চেয়ে ভালো দল।’