দেশীয় আম্পায়াররা বেশ লম্বা সময় ধরে প্রশ্নবিদ্ধ। ঘরোয়া ক্রিকেটে হরহামেশা দেখা যায় তাদের ভুল সিদ্ধান্ত। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আম্পায়ারদের উন্নয়নে কাজ শুরু করে বিসিবি।
আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু তার ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে আম্পায়ারদের রিফ্রেশমেন্ট কোর্স করান। দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে এবারে আম্পায়ারদের চোখ ও কান পরীক্ষা করাল বোর্ড।
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটা সময় নিয়মিতভাবে করা হলেও গত তিন বছর ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আম্পায়ারদের নিয়ে সেটা পুনরায় চালু করেছে বোর্ড।
প্রথম ধাপে সোমবার ৪৮ আম্পায়ারের চোখ ও কান পরীক্ষা করানো হয়েছে। বাকিদের এর আওতায় আনা হবে ঈদের কুরবানি ঈদের পর।
আম্পায়ারদের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রক্রিয়া চালু হওয়ার প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আম্পায়ারিংটা আসলেই অনেক কঠিন কাজ। বল দেখার পাশাপাশি শব্দ শুনতে হয়। নিয়মিত চেকআপ না করালে কেউই বুঝতে পারে না চোখ বা কানে সমস্যা আছে। পরীক্ষা করালে যেটা হয় চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভালো থাকতে পারে। একই সঙ্গে আম্পায়ারিংয়ে আরও সতর্ক হওয়া সম্ভব হবে।’