বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম বহর তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেদিন পৌঁছেছিল, সেদিনই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে ক্যারিবীয়রা।
পূর্ণশক্তি নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে গেলেও খালি হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে ক্যারিবীয়দের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার আগ মুহূর্তের অভিজ্ঞতাটা মধুর হলো না উইন্ডিজের। পাকিস্তানের কাছে ক্লিন সুইপ হওয়ার তিক্ত স্বাদ নিয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে দলটিকে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে হারের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের পরাজয় হয় ৫৩ রানে। ফলে ৩-০তে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।
মুলতান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। জবাবে ৩৭ ওভার ২ বলে ২১৬ রান তুলতেই অলআউট হতে হয় উইন্ডিজকে।
পাকিস্তানের হয়ে ওই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফর্ম দেখান শাদাব খান। ব্যাট হাতে ৮৬ রানের পাশাপাশি বল করে নেন চার উইকেট। সেই সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও যায় তার ঝুলিতে।
এদিকে ক্যারিয়ারের দুর্দান্ত সময় কাটাতে থাকা ইমাম-উল-হক পান সিরিজ সেরার পুরস্কার। চলতি সিরিজে তিনি হাঁকিয়েছেন টানা তিনটি ফিফটি। একই সঙ্গে টানা সাত আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন এই ডানহাতি।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে ইমামের সামনে হাতছানি দিচ্ছে অনন্য এক রেকর্ড। আর দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেই তিনি স্পর্শ করবেন টানা সর্বাধিক ম্যাচে ফিফটির দেখা পাওয়া জাভেদ মিয়াদাঁদকে।
পাকিস্তানি ক্রিকেট গ্রেট জাভেদ মিয়াদাঁদ টানা ৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিফটি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। আর তিন ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলে ইমাম-উল-হক টপকে যাবেন স্বদেশিকে।