দুবাইয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়েন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তারপর থেকে বাংলাদেশ দলে ঢোকার জন্য সুযোগ খুঁজছেন এ পেইস বোলিং অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সীমিত ওভারের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে। দলের একাংশ উইন্ডিজে চলে গেলেও ঢাকায় অনুশীলন করছেন সাইফউদ্দিন। প্রতি দিনই চলছে তার সর্বোচ্চ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াও।
চোট কাটিয়ে উঠলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিটনেস এখনও পূর্ণভাবে ফিরে পাননি তিনি। সেটা নিয়ে মিরপুরের শেরেবাংলায় কাজ করছেন। আর নজর রাখছেন উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ভিডিওগুলোতে। ক্যারিবিয়ান সফরে কখনও যাওয়া হয়নি সাইফউদ্দিনের। তাই ইউটিউবই ভরসা।
রোববার সাইফউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবার আমার প্রথম। ওই কন্ডিশন বা উইকেট আমার জানা নেই। যেহেতু ইউটিউবে যুগ, বিভিন্ন ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখছি আর বোঝার চেষ্টা করছি কত স্কোর হতে পারে। যে টি টোয়েন্টি ম্যাচ ওরা খেলেছে সেগুলো থেকে আইডিয়া নিচ্ছি।’
দল থেকে মাস ছয়েকের বেশি বাইরে আছেন সাইফউদ্দিন। দলে ফেরার পর জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ তার সামনে। সে লক্ষ্য বাড়তি কোনো কিছু করতে চান না ২৬ বছরের এ অলরাউন্ডার।
বলেন, ‘তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করব। কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। দলের জয়ে ১০ রান গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য উইকেট কাজে লাগলে সেটাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেনের সঙ্গে উইন্ডিজ স্কোয়াডে আছেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের মতো নিয়মিতরা। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দলে টিকে থাকাটা সহজ হবে না মানছেন সাইফউদ্দিনও।
তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েক সিরিজে পেস বোলাররা ভালো ছন্দে আছে। এটা দেশের জন্য ইতিবাচক। ইনশাআল্লাহ আমিও চেষ্টা করব সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা করে নেওয়ার।’
বাংলাদেশ গত বেশ কয়েক বছর যাবত বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়ানডে দল। সাইফউদ্দিন নিজেও স্বীকার করেনি সেটি। যে কারণে ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের তুলনায় এগিয়ে রাখলেন নিজেদের।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আমরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে বরাবরই ভালো খেলে আসছি। সবাই আত্মবিশ্বাসী থাকে এ ফরম্যাটে। ফেভারিট বলে কিছু নেই। যার দিন ভালো যাবে সেই জিতবে। যেহেতু ওদের কন্ডিশনে খেলা কিছু সুবিধা তো পাবে। ওদের মাটিতে আগেও ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছি। সেদিক থেকে আমরা ফেভারিট।’