তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া বড় লক্ষ্য টপকে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শাই হোপের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানের সংগ্রহ গড়ে সফরকারী দল। জবাবে বাবর আজমের শতরানে ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে নেয় পাকিস্তান।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৯ রানেই ওপেনার কাইল মায়ার্সকে হারায় সফরকারীরা। এরপর শামারাহ ব্রুকসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেন শাই হোপ।
দলীয় ১৬৩ রানে ব্রুকস (৭০), ১৯৮ রানে নিকোলাস পুরান (২১) ও ২১৬ রানে ব্রেন্ডন কিং (৪) বিদায় নিলেও উইকেটে অবিচল থেকে রানের গতি অব্যাহত রাখেন হোপ। পথিমধ্য তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতক।
১১৮ বলে করা তার সেঞ্চুরিতে ছিল ১৩টি চারের মার। ছিল না কোন ছক্কার মার। ১৩৪ বলে ১২৭ রান করে যখন তিনি বিদায় নেন উইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে তখন রান ২৪৩।
এরপর রভম্যান পাওয়েলের ২৩ বলে ৩২, রোমারিও শেপার্ডের ১৮ বলে ২৫, আকিল হোসেনের ৭ বলে ৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নেন হারিস রউফ। দুটি উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও একটি করে নেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব খান।
জবাবে, শুরুতে ফখর জামানকে হারালেও, ইমাম উল হক ও বাবর আজমের শতরানের জুটিতে ম্যাচ জয়ের পথে থাকে পাকিস্তান। ইমাম ৬৫ রানে আউট হলে ভাঙ্গে ১০৩ রানের জুটি। পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ২ উইকেটে ১২৯।
বাবর তুলে নেন তার ১৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তবে দলকে জয় পাইয়ে দিতে পারেননি অধিনায়ক। ৪২ তম ওভারে ১০৩ রান করে আউট হন তিনি। এর তিন ওভার পর ৫৯ রান করে ফিরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।তখনও পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩২ বলে ৫০ রান। যা শেষ দুই ওভারে টার্গেট নেমে আসে ১২ বলে ২১ রানে। রোমারিও শেপার্ডের করা ৪৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে ম্যাচ পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে নেন খুশদিল শাহ।
১টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে ২৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। রোমারিও শেফার্ড ও জেডেন সিলস একটি করে উইকেট নেন।