একটা সময় জাতীয় দলে দাপট ছিল স্পিনারদের। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই দাপট পেইসারদের কোর্টে চলে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে স্পিনার সংকটের বেশ কিছু নজির দৃশ্যমান।
সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেও স্পিনার সংকটে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান ইনজুরিতে পড়লে তাদের জায়গায় কাজ চালাতে হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে দিয়ে।
তবে এই দুই স্পিনারের অভাব পূরণ করতে পুরোদমেই ব্যর্থ হন সৈকত। পুরো টেস্টে মাত্র ১২ ওভার বল করার সুযোগ হয় তার। এর বেশি ওভার তাকে দিয়ে করানোর সাহস পাননি দলপতি মুমিনুল হক।
পাবেনই বা কিভাবে? ১২ ওভারে ৩.১৬ ইকোনোমি রেটে সৈকত দিয়েছিলেন ৩৮ রান। একটি মেইডেন দিয়ে ঝুলিতে উইকেট পুরতে ব্যর্থ হন।
এরপরই আলোচনায় আসে পাইপলাইনের স্পিনারদের বিষয়। দুই স্পিনারের ইনজুরির অভাব একজন স্পিন অলরাউন্ডারকে দিয়ে পূরণের চেষ্টা অনেক কিছু্ই ইঙ্গিত করে।বোর্ডের দাবি করা ‘শক্তিশালী পাইপলাইনের’ শক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
তবে মিরাজ-নাঈম-তাইজুলদের গড়ে তোলার কারিগর দেশীয় স্পিন কোচ সোহেল ইসলামের মতে, আমাদের পাইপলাইনে অনেক স্পিনার আছে। তবে তারা এখনও জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার মতো পরিপক্ব হয়ে ওঠেননি। পর্যাপ্ত সময় ও নার্সিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলে উঠিয়ে নিয়ে আসতে হবে তাদের।
সোহেল বলেন, ‘একদিনেই মিরাজ, তাইজুল কিংবা নাঈম হাসান তৈরি হয়নি। যারা উঠে আসবে তাদেরও সময় দিতে হবে। আমি বলব না অফস্পিনার নেই। আমাদের আছে, এদের নার্সিং করতে হবে। তাদের আন্তর্জাতিক মানের কিছু ম্যাচ খেলাতে হবে ব্যাকআপে এবং অনুশীলনটা ওখানে লাগবে। যদি ওরকম পরিবেশ তৈরি করতে না পারি বা ভালো ম্যাচ না দিতে পারি, তাহলে রেডি হওয়া আসলেই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাইপলাইন তৈরি হতেও সময় লাগে। আমরা সবাই জানি আসলে আমাদের যে ঘরোয়া ক্রিকেট হয়, ওটার সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য আছে। একটা ছেলেকে আমি পাইপলাইন থেকে যদি তুলে নিয়ে যাই, সে খুব ট্যালেন্টেড এবং ভালো, কিন্তু তারও আন্তর্জাতিক খেলার জন্য সময় দিতে হবে। আমরা হঠাৎ করে নিয়ে আসব এবং দুটো ম্যাচ দেখে তাকে বিচার করে ফেলব, এটা তার ক্ষতির কারণ হবে।’