লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে দুই দলেরই আধিপত্য ছিল বোলারদের। ২৪৮ রান দিয়ে বোলাররা শিকার করেন ১৭ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনেও ছিল বোলারদের দাপট। প্রথম সেশনেই দুই দল মিলে হারায় ৬ ইউকেট। লাঞ্চের পর আরও একটি। দেখে মনে হচ্ছিল দুই দিনেই শেষ হয়ে যাবে লর্ডস টেস্ট, তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ড্যারেল মিচেল আর টম ব্লান্ডেল শক্তভাবেই ক্রিজে আছেন। দুজনই এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে।
নিউজিল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোতে চাপে পড়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। শুক্রবার লর্ডসে মিচেল-ব্লান্ডেলের ১৮০ রানের জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২৩৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে কিউইরা।
দ্বিতীয় দিন শেষে ২২৭ রানে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের হতে আছে আরও ৬টি উইকেট। মিচেল অপরাজিত আছেন ৯৭ রানে, তার সঙ্গী ব্লান্ডেলের রান ৯০।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে অলআউট হয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও শুরুটা ভালো হয়নি ব্ল্যাক ক্যাপদের। প্রথম ইনিংসের মতোই হারাতে থাকে উইকেট। দলীয় ৫ রানেই জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হন ওপেনার উইল ইয়ংক। তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
স্কোর বোর্ডে ২৫ রান যোগ করতেই ইংল্যান্ডকে পরের ব্রেকথ্রু এনে দেন ম্যাথু পটস। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ফেরান তিনি। ১৫ রান করেন উইলিয়ামসন।
পরের ওভারে এসে ব্যক্তিগত ১৪ রান করা টম ল্যাথামের উইকেটও নেন অভিষেক হওয়া পটস। ৩ ইউকেট হারিয়ে ২৯ রান লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
বিরতির পর আবারও ধাক্কা খায় কিউইরা। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে ডেভন কনওয়ে আউট হন ১৩ রান করে। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ৪ ইউকেট হারিয়ে ৫৬।
দ্বিতীয় সেশনে শুধু ওই একটি উইকেটই হারায় সফরকারীরা। তারপর খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলে মিচেল-ব্লান্ডেলের জুটি।
এর আগে দিনের শুরুতে ৩ ইউকেট নিয়ে ১৬ রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। প্রথম দিনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মাত্র ৯ রান লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে স্বাগতিকরা। সব উইকেট হারিয়ে স্কোর দাঁড়ায় ১৪১ রান।
ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের দুটিই নেন টিম সাউদি। তিনি ৫৫ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন। আর ২১ রানে ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
কাইল জেমিসন দুটি ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম একটি করে উইকেট নেন।