মুমিনুল হক টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নতুন অধিনায়কের জন্য বোর্ডের নজরে আছেন বেশ কয়েকজন। সিনিয়র-জুনিয়রদের মিশেলে তৈরি বোর্ডের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
তবে টেস্ট দলের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে সাকিবকে সবার চেয়ে যে এগিয়ে রেখেছে বোর্ড, সেটির ইঙ্গিত মিলেছে বোর্ড কর্তাদের ভাষ্যে। টেস্ট দলপতি হিসেবে বোর্ড সভাপতি থেকে শুরু করে সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে সাকিব।
২০১৯ সালে ক্রিকেট থেকে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর টেস্ট দলের দায়িত্ব দেয়া হয় মুমিনুল হককে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফিরলেও, ফিরে পাননি হারানো জায়গা। মুমিনুলের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ফের সে সম্ভাবনা জেগেছে।
তবে সাকিবকে টেস্ট দলের দায়িত্ব দিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিসিবি। এর কারণ বনেদি ফরম্যাটে সাকিবের নিয়মিত না হওয়া।
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর ২ বছরের জন্য (এক বছরের স্থগিতাদেশ) সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নির্বাসন কাটিয়ে সাকিব ক্রিকেটে ফেরেন ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত সাকিব সাদা পোশাকে জাতীয় দলের হয়ে নেমেছেন পাঁচ টেস্টে। আর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর বাংলাদেশ খেলেছে ১৩টি টেস্ট।
খালি চোখে টেস্টের প্রতি এক ধরনের অনীহা দেখা যায় সাকিবের। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ বোর্ড।
তবে টেস্ট দলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবার আগে এই অনিয়মিত হওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে বোর্ডকে। দলের নেতৃত্ব তাই সাকিবের কাঁধে তুলে দিতে ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপচারিতায় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সাকিব যে কোনো ফরম্যাটেই অধিনায়ক হতে পারেন। কিন্তু সে নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলবে কি না তা আমাদের জানতে হবে। সাকিব অধিনায়ক ছিলেন। তার অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে তাকে নিয়মিত পাওয়া নিয়ে নিশ্চয়তা দরকার।
‘আমাদের প্রথমে তার (সাকিব) সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমরা হুট করেই কাউকে অধিনায়ক করতে পারি না, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’