প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের দুই তারকা সাদিও মানে ও মোহামেদ সালাহ ৭০ ম্যাচের দীর্ঘ মৌসুম শেষ করে ২০২৩ আফ্রিকান নেশন্স কাপের বাছাইপর্ব খেলতে ফিরেছেন নিজ দেশে। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে পারেনি দুই তারকার দল লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটির কাছে মাত্র এক পয়েন্টে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও হাতছাড়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে এই দুই রেডস তারকাকে দেশে ফিরতে হয়েছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের হয়ে মাঠে নামবেন মানে। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেনিন। নিজ দেশের এই ম্যাচের পর গ্রুপ-এল এর পরবর্তী ম্যাচে রুয়ান্ডা সফরে যাবে সেনেগাল। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
অন্যদিকে মিসরকে নেতৃত্ব দেবেন সালাহ। গ্রুপ-ডিতে গিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করবে মিসর।
প্রিমিয়ার লিগের আরেক তারকা ম্যানচেস্টার সিটির রিয়াদ মাহারেজ অবশ্য গ্রুপ-এফ-এ উগান্ডা ও তানজানিয়ার বিপক্ষে আলজেরিয়াকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। ইনজুরির কারণে তিনি বাছাইপর্বে আপাতত অংশ নিচ্ছেন না বলে জাতীয় দল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংও অনুপস্থিত থাকছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনায় গ্রুপ-আইয়ে কঙ্গো ও মৌরিতানিয়ার বিপক্ষে গ্যাবনের হয়ে এই তারকা ফরোয়ার্ডের মাঠে নামা হচ্ছে না।
বরাবরের মত এবারের আফ্রিকান নেশন্স কাপেও স্পটলাইট থাকবে অ্যানফিল্ডের দুই সতীর্থ মানে ও সালাহর ওপর। এই দুজন গত দুই বছর আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জয় করেছিলেন।
গ্লোবাল ফুটবলার্স ইউনিয়ন ফিফপ্রোর তথ্য অনুযায়ী এই দুই ফরোয়ার্ড ২০২১-২২ মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে ৭০টি ম্যাচ খেলেছেন। ফিফপ্রো মতে মৌসুমে একজন খেলোয়াড়ের কোনোভাবেই ৫৫টি ম্যাচের বেশি খেলা উচিত নয়। এ বিষয়ে তারা মানে ও সালাহকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন এতে করে তাদের শারীরিক সক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন শারীরিকভাবে চাঙা হতে মানে ও সালাহর অবশ্যই বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল।
ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ায় সেখানকার খেলোয়াড়দের বিমানযাত্রা খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আফ্রিকান দেশগুলোতে যেতে দীর্ঘ যাত্রার ধকল সামলাতে হয়। বাছাইপর্বে ২৩টি স্থানের জন্য ৪৫টি আফ্রিকান দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। কিন্তু এর মধ্যে ১৬টি দেশের মানসম্মত স্টেডিয়াম না থাকায় অন্য দেশে খেলতে হয়। বুরুকিনা ফাসো, গিনি-বিসাউ, কেপ ভার্দে, মরিশাস, লাইবেরিয়ার ম্যাচগুলো মরক্কোতে ও মোজাম্বিক, নামিবিয়া ও লেসুটুর ম্যাচগুলো অস্থায়ী হোম ভেন্যু হিসেবে সাউথ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়।