ব্যাট হাতে আইপিএলে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন জস বাটলার। ৪ সেঞ্চুরিসহ ৮৬৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন এই ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটার।
বাটলারের এমন দানবীয় পারফরম্যান্স আইপিএলে সামনাসামনি দেখেছেন ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নতুন হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ম্যাককালাম এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হেড কোচ ছিলেন। বাটলারের পারফরম্যান্স এতটাই মনে ধরেছে ম্যাককালামের যে, তাকে টেস্ট দলে ফেরাতে চান তিনি।
গত অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে হারের পর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন বাটলার। সিরিজে ৪ টেস্ট খেলে ৮ ইনিংসে ১০৭ রান করেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্কোরার হবার পরও টেস্টে বাটলারের ব্যাটিং গড় ৩১.৯৪। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে নেই বাটলার। উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে আছেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন ফোকস।
তবে বাটলারের টেস্ট ক্যারিয়ারের এখানেই শেষ দেখছেন না ম্যাককালাম। টেস্ট ফরম্যাটে বাটলারের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ইংল্যান্ডের নতুন হেড কোচ।
সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জস এমন একজন খেলোয়াড় যে কি না যেকোনো ফরম্যাটে যেকোনো সময় মানিয়ে নিয়ে ম্যাচ বের করে আনার সক্ষমতা রাখে। কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন, যারা অনেক প্রতিভাবান। সুযোগ পেলে দলের উন্নতি করতে পারে।‘গত দুই মাসে আইপিএলে আধিপত্য বিস্তার করেছে তারা। যদি কেউ টি-টোয়েন্টিতে ভালো হয়, তবে সে দক্ষতা টেস্ট ক্রিকেটে আনতে না পারার কোনো কারণ নেই।’স্পিন অলরাউন্ডার মইন আলি ও লেগস্পিনার আদিল রাশিদের টেস্ট ক্যারিয়ারকে পুনরুজ্জীবিত করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ম্যাককালাম। যদিও লালবলের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন তারা।একই সঙ্গে লিয়াম লিভিংস্টোনকে টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ দিতেও প্রস্তুত ম্যাককালাম। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ম্যাককালাম যোগ করেন, ‘অবশ্যই লিভিংস্টোন, মইন ও রাশিদের মতো খেলোয়াড়কে আপনি পেতে চাইবেন। খেলোয়াড়রা সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। খেলার অন্যান্য ফর্মে সফল হয়েছে। তারা অন্য ফরম্যাটে সফল হতে পারবে বলে আমি মনে করি।’