টেস্ট ক্রিকেট আধুনিককালে যেন নিজ জৌলুস অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে টেস্ট ক্রিকেটের ধারা এখন নিম্নমুখী। ইংল্যান্ড দলের নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও এই নিম্নমুখী মতের সাথে একমত পোষন করেন। তবে প্রথমবারের মত কোনো জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পাওয়া ম্যাককালামের মতে ইংল্যান্ড দলই টেস্টে এই নিম্নমুখী ধারাকে পরিবর্তন করতে পারে।
গত বছর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে খাদের কিনারা থেকে সাফল্যের ধারায় আনার বিরাট চ্যালেঞ্জ ম্যাককালামের সামনে। গেল বছর ১৫ টেস্টে মাত্র ৪ টিতে জয় ইংলিশদের। এ বছর ৫ টেস্ট খেলে জয়ের দেখা পায়নি একটিতেও। ২টি হারের সাথে ৩টি ম্যাচে ড্র করেছে ইংলিশরা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান আসরে নয় দলের মধ্যে টেবিলের তলানিতে ইংল্যান্ড। ১৩ ম্যাচ খেলে ১টি জয়, ৭ হার ও ৪ ড্রতে মাত্র ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে ইংলিশরা।
দলের এমন দুর্দশায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান জো রুট। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়ক হয়েছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২ জুন লর্ডসে নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হওয়া সিরিজ দিয়ে ইংল্যান্ড দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হবে ম্যাককালামের।
টেস্ট সিরিজের আগে ম্যাককালাম বলেন, টেস্ট ক্রিকেটই চূড়ান্ত ফরম্যাট, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটির ধারা নিম্নমুখী, লংগার ভার্সন অনেকটাই নিজের গৌরব হারিয়ে ফেলেছে। একমাত্র ইংল্যান্ডই পারে এই নিম্নমুখী ধারাটা পরিবর্তন করতে ।
ম্যাককালাম বলেন, ‘আমি সাদা বলের পাশাপাশি লাল বলের ক্রিকেটও খেলেছি। তবে আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট সব কিছুর উপরে। বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটের ধারা নিন্মমুখী। আমার মতে, ইংল্যান্ড সেই নিন্মমুখী ধারা পরিবর্তন করতে পারবে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ইংল্যান্ডের আছে। টেস্টের ভক্ত-সমর্থক এখানে আছে।’
বর্তমান অবস্থা থেকে ইংল্যান্ড দল ঘুরে দাঁড়াবে প্রত্যয় ব্যক্ত করে ম্যাককালাম বলেন, ‘সময় লাগবে। ছেলেদের যাদের অনেক প্রতিভা আছে, তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ও একে অপরের জন্য খেলতে, ইংল্যান্ডের ভাল প্রতিনিধিত্ব হতে চেষ্টা করছি। আশা করি, আমরা এই পথ ধরে ভাল কিছু অর্জন করতে পারবো। অবশ্যই, সময়ের সাথে-সাথে আমরা এক নম্বর হতে পারি, অ্যাশেজের জন্য চ্যালেঞ্জ করতে পারি এবং যখন বিশ্বের সেরা দলগুলির কথা বলা হবে, তখন সেখানে আমরা থাকতে পারি।’