গত বছর কার্লো আনচেলত্তিকে যখন রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব দেয়া হয় তখন বিশেষজ্ঞ ও সমর্থকরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর পরও তাকে বিদায় করে দিয়েছিলেন রিয়ালের সভাপতি ও একনায়ক ফ্লোরেন্তিনো পেরেস।
পেরেসের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের আভাস দিয়েছিলেন আনচেলত্তি নিজে। শুরুতেই তাকে বড় কোনো খেলোয়াড় দলে টানা থেকে বিরত রাখেন পেরেস।
বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপর্যয়ের মৌসুমে বেশ আয়েশ করেই লা লিগা জিতে নেয় রিয়াল। আনচেলত্তির চাকরি তাতেও পাকা হয়নি। পেরেসের চাওয়া ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ, যা তারা সবশেষ জিতেছে চার বছর আগে।
লা লিগা শিরোপা জেতার পরও তাই ইউরোপ সেরার ট্রফি এনে দিতে না পারলে সামনের মৌসুমে যে আনচেলত্তিকে রিয়ালের ডাগ আউটে দেখা যাবে না, তা এক রকম নিশ্চিত ছিল।
তবে আনচেলত্তি বরাবরই বলে এসেছেন, তার দল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে সক্ষম। লিভারপুলকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তার শিষ্যরা সেটা করেও দেখিয়েছেন।
রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এতে করে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার রেকর্ড গড়লেন আনচেলত্তি।
তার আগে বব পেইসলি লিভারপুলের সঙ্গে ৩টি ও জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৩টি শিরোপা জিতেছেন। আনচেলত্তি একমাত্র কোচ যিনি দুই ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চারবার শিরোপা জিতেছেন। রিয়ালের সঙ্গে দুইবার শিরোপা জয়ের আগে ইতালির এসি মিলানের হয়ে দুইবার ইউরোপ সেরার ট্রফি জেতেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে বেশ আমুদে মেজাজে নিজের এ অর্জনের স্বীকৃতি দেন তিনি। মাদ্রিদে ফিরে এসে ৮ বছর পর শিরোপা জয়টা বিশেষ আনন্দের এমনটা জানান আনচেলত্তি।
তিনি বলেন, ‘আমি রেকর্ড ম্যান! চ্যাম্পিয়নস লিগ চারবার জিততে পেরে আমি খুবই খুশি। আরও ভালো লাগছে যে মাদ্রিদে ফিরে আসার পর আমরা এমন অসাধারণ একটি মৌসুম কাটাতে পেরেছি।’
আপাতত পেরেসের মন রক্ষা করতে পেরেছেন আনচেলত্তি। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাস তাকে স্বস্তি দেবে না মোটেও। কারণ সাফল্য পাওয়ার পরের মৌসুমেই কোচকে বরখাস্ত করা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।