দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে প্রথম দিকে ধসের পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। মাত্র ২৯ রানের লিড দিলে শ্রীলঙ্কা অনায়াসে জিতে নেয়।
দলের এমন পারফরম্যান্সের জন্য হাথুরেসিংহের আমলে গড়া বাজে উইকেটে খেলাকেই দুষছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেন তিনি।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা (অতি স্পিন নির্ভর উইকেট) হয়তো আমাদের একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য সাহায্য করবে। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না। আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ওই টেস্ট জয় আমাদের পরে হয়তো ক্ষতিই করেছে।
‘কারণ, এরপর ভালো উইকেটে যখন খেলেছি, তখন ভালো করিনি। আমরা যদি স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলি, এরপর ঘরের বাইরে ভালো উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগই থাকবে না।’
একইসঙ্গে বনেদি ফরম্যাটে ভালো করতে ভালো উইকেটে খেলার বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
মূলত বাংলাদেশের হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয়ার রীতি চালু হয় ২০১৬ সাল থেকে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে শেরে বাংলায় স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে সেবার বাংলাদেশ টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
সে জয়ের পরেই হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগানোর নতুন প্রথার সঙ্গে পরিচিত হয় বাংলাদেশ।
এরপর থেকেই স্লো আর লো উইকেটে খেলে ঘরের মাঠে একের পর এক জয় পেতে শুরু করে টাইগাররা।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা শুরুর পর। স্লো আর লো উইকেটে লম্বা সময় ধরে খেলতে খেলতে স্পোর্টিং উইকেটে এসে রীতিমতো খাবি খেতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
গেল বিশ্বকাপে এর দৃষ্টান্ত দেখেছে ক্রিকেটভক্তরা। সবশেষ হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলার মিশনটা বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য উইকেটে টিকে থাকার মিশনে পরিণত হতে দেখা গেছে।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। এই টেস্টের উইকেট ভালো ছিল। টেস্টের পঞ্চম দিন ফল এসেছে, ভালো উইকেট। চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট ছিল।
‘কিন্তু সেখানেও ফল হতে পারত। ওরা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তাই ভালো করতে পারছে না। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। যত ভালো উইকেটে আমরা খেলব, ক্রিকেটারদের উন্নতিও ততো ভালো হবে।’