২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের দায়িত্বভার বুঝে নেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যাশেজের পর তিনি দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। তার সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জয়সহ সব ফরম্যাটে সাফল্য ছিল অস্ট্রেলিয়া। নানা বিতর্কের কারণে দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে।
ল্যাঙ্গারের দাবি দলীয় রাজনীতির কারণে তিনি সরে এসেছিলেন জাতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে ফেব্রুয়ারিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে ৬ মাসের জন্য নতুন চুক্তির প্রস্তাবনা দেয়। আর এ বিষয়টি অপমানজনক মনে হয়েছে ল্যাঙ্গারের কাছে। তাই চুক্তি নবায়ন না করে নিজ থেকে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়ার বেশ কিছু মাস আগে থেকে গুঞ্জন ছিল বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় তার কোচিং স্টাইলে অসন্তুষ্ট ছিলেন।
অনেক সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক কাল হয়ে দাঁড়ায় অজি এই কোচের জন্য। তবে সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ল্যাঙ্গার। দলের ভেতর চলমান রাজনীতির কারণে হাল ছেড়ে দেন তিনি। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় এক ইভেন্টে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটা বলেন ল্যাঙ্গার।
তিনি বলেন, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শেষ ছয় মাস ছিল ১২ বছরের কোচিংয়ের সবচেয়ে উপভোগ্য সময়। আমরা সবকিছু জিতেছি তা নয়। আমার পুরো ফোকাস ছিল দলের উন্নতির দিকে।’
টানা ৩-৪ বছর রাজনীতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। তারপরও দলের স্বার্থে সবকিছু মেনে নিয়েছেন বলে জানান ল্যাঙ্গার। এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সবাইকে সন্তুষ্ট রাখাও সম্ভব নয় অভিমত তার।
সাবেক এ ওপেনার যোগ করেন, ‘এতো কিছুর পর ক্লান্ত লাগাটা স্বাভাবিক। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব পড়ে। আমি একটা বিষয় শিখেছি যে শুধু দুইটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। এক আমর আকী জিতেছি ও আমার খেলোয়াড়রা।’
অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব ছাড়ার পর ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল ল্যাঙ্গারের নাম। শেষ পর্যন্ত চিরশত্রুর ক্যাম্পে যোগ দেননি তিনি।