দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লঙ্কান পেইসার কাসুন রাজিথার জোড়া আঘাতে আবারও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসা লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভেঙ্গে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তিনি। লিটনকে ফেরানোর পরপরই লঙ্কান এই বোলার সাজঘরের পথ বাতলে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে ভর করে। প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টায় পাঁচ উইকেট হারালেও দিনের বাকিটা সময় টাইগারদের উইকেট তুলে নিতে পারেননি লঙ্কানরা।
তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেন রাজিথা। ব্যক্তিগত ১৪১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে পতন ঘটান দিনের প্রথম উইকেটের। তবে মাঠ ছাড়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন গড়েন রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি। এখন পর্যন্ত টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। একই সঙ্গে সেরা তিন জুটির ভেতর জায়গা করে নিয়েছে লিটন-মুশির অনাবদ্য এই পার্টনারশিপ।
লিটনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন প্রায় দুই বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু তিন বল খেলেই রানের খাতা খোলার আগে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস শুরুর প্রথম ঘণ্টাতেই ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ যখন নৌকার মতো দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে সময় দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে স্বাগতিকদের খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান মুশফিক ও লিটন। রেকর্ড ২৫৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি গড়ে তারা দলকে কেবল বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেননি, বাঁচিয়েছেন লজ্জার হাত থেকেও।
মুশফিক ও লিটনের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে দিন শেষে সেই পাঁচ উইকেট হারিয়েই ২৭৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দলের বিপর্যয়ে শক্ত হাতে হাল ধরে লিটন বাগিয়ে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। অপরদিকে মুশফিক পান টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতকের দেখা। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরির দেখা পান অনিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার।