বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপর্যয় সামলে ঢাকা টেস্টের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৩ মে, ২০২২ ১৭:৩৯

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে ২৭৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫* রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।

ঢাকা টেস্টে লঙ্কান পেইসারদের শুরুর তাণ্ডবলীলার রেশ কাটিয়ে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রেখে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে ২৭৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট।

দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫* রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।

দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকে লঙ্কান পেইসারদের তাণ্ডবে চুরমার হয়ে যেতে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৪ রান তুলতে সাজঘরে ফিরতে হয় পাঁচ টাইগার টপ অর্ডারকে।

ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলে কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

সেই রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় সঙ্গী তামিম ইকবালকেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।

এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশা দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই ব্যাট চালাতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে

দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। ১৪৯ বলে পাঁচ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার। অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার। ছিল না কোনো ছক্কা।

লিটনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও দলের বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।

দুর্দান্ত সেই শতকের দেখা পেতে মুশফিককে খেলতে হয় ১১৮টি বল। যেখানে ছিল তার ১১টি চারের মার। পুরো ইনিংসে একটি ছক্কাও মারেননি তিনি।

এই দুই ব্যাটার ষষ্ঠ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। তাদের গড়া ২৫৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের জুটিটি ছিল ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এ বিভাগের আরো খবর