অবশেষে এসি মিলান ফিরেছে ইতালির ফুটবলের শীর্ষস্থানে। আশি ও নব্বই দশকের বিশ্বসেরা ক্লাবটিকে গত এক দশক বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে একরকম টিকে থাকতেই। শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিতে তাদের পুনর্জাগরণ সম্পূর্ন করেছে লাল-কালোরা।
সেরি আ শিরোপা নিষ্পত্তি হয় রোববার রাতে। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ইন্টারনাৎসিওনালের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে সাসুয়োলোর মুখোমুখি হয় মিলান। আর ইন্টারের প্রতিপক্ষ ছিল সাম্পদোরিয়া।
মিলান পা হড়কালেই ইন্টারের সামনে সুযোগ ছিল শিরোপা লুফে নেয়ার। তেমনটা হতে দেয়নি লাল-কালোরা।
সাসুয়োলোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে স্টেফানো পিওলির দল। ১১ বছর পর শিরোপা উৎসবে মাতে মিলানের লাল অংশ। ইন্টারও জয় পায়। সাম্পদোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারালেও দ্বিতীয় সেরা হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
মিলানের জয়ে পুরো শহর পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সারারাত ভক্তরা নেচে গেয়ে ও মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ও একই শহরের আরেক বড় ক্লাব ইন্টার মিলানকেও খোঁচা দিতে ভোলেননি কেউ কেউ।
ভক্তদের প্রত্যাশা এ জয় দিয়ে পুরনো সেই শ্রেষ্ঠত্বের দিনে ফিরে যেতে পারবে মিলান। সামনের মৌসুম ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতালির চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই লড়বে তারা।
পুরো একটা মৌসুম ভক্তদের পাশে পেয়েছে মিলান। অলিভিয়ে জিরু ও স্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের দলে টানার জন্য সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কোচ স্পিওলিকে। তবে ৪০ বছরের ইব্রা ও ৩৫ বছরের জিরুকে নিয়েই শিরোপা উপহার দিয়েছে মিলান।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালে মিলানে যোগ দেন স্লাতান। এসেই বলেছিলেন দলকে শিরোপা উপহার দিতে চান। রোববার রাতে শিরোপা জয়ের পর মনে করিয়ে দেন সে কথা।
ইব্রা বলেন, ‘আমি এখানে ফিরে আসার পর বলেছিলাম মিলানকে শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই। ও শিরোপা জিততে চাই। এখানের খেলোয়াড়রা সবাই দারুণ। আমরা পরিশ্রম করেছি। দুই বছর আগে আমরা নীরবে কাজ শুরু করেছিলাম।’
২০১১ সালে যখন মিলান শিরোপা জেতে সেবারও স্লাতান ওই দলের অংশ ছিলেন।