সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ঘণ্টাতে ৫ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। দুই জনের শতরানের জুটিতে কামব্যাকের চেষ্টায় আছে টাইগাররা।
৪৩ ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৩৩ রান
সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টাতে ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ২৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
হোম অফ ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বল আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কিন্তু কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার।