চতুর্থ দিন জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের শুরুতে সেই স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ নেয়ার আগেই নিরোশান ডিকভেলা ও দিনেশ চান্ডিমালের বুদ্ধিদ্বীপ্ত ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে যাওয়ার পথে। দুই সেশন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের লিড ১৩৭ রান। ক্রিজে রয়েছেন ডিকভেলা ৩৩ রানে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৭৮ বলে ১৪ রান করা চান্ডিমাল।
বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত লিড।
লিড এনে দিয়ে দুই ব্যাটার ব্যাট চালানো শুরু করেন বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্যে। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তাইজুল দিনের প্রথম আঘাত হানেন লঙ্কান শিবিরে; তুলে নেন কুশল মেন্ডিসের উইকেট।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতে সফরকারীদের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন এ স্পিনার। তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর বিপদ ঘটেনি সফরকারীদের। যার ফলে ১২৮ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে ৫২ রানে আউট করেন তাইজুল। লঙ্কানরা হারায় তাদের ৫ম উইকেট।
এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি ছিল তার প্রথম উইকেট। ডি সিলভার উইকেট পতনের পর সম্ভাবনা জাগে শ্রীলঙ্কাকে অল্পতেই অল আউট করে দেয়ার।
দৃশ্যপট বদলে দেন দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা মিলে। উইকেট কামড়ে ধরে সময় নষ্ট করতে থাকেন। একই সঙ্গে ম্যাচের ফল নিয়ে যেতে থাকেন ড্রয়ের দিকে।