ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছিল না জাতীয় দলের তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এ কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে বেশ কয়েকবার।
গুঞ্জন ওঠে জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছা অবসরের, তবে সব সমালোচনার জবাব মুশফিক দেন ব্যাট হাতেই।
নিজের ৮১তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন লিডের পথে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
রেকর্ডবুকে নাম তুলতে মুশফিকের দরকার ছিল ৬৮ রান। সাগরিকা টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে সেই প্রয়োজন কমিয়ে আনেন মুশি ১৫ রানে। তৃতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে।
সাগরিকা টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে মুশি প্রবেশ করেন পাঁচ হাজারি ক্লাবে। এর মধ্য দিয়ে একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে অনন্য এই মাইকফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
মুশির ঠিক পরই পাঁচ হাজারি ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের পাঁচ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে আর মাত্র ১৯ রান প্রয়োজন।
২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মালিক হন তামিম। একই বছর ফিরতি সফরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন মুশফিক।
সেবার মুশির আগে তামিম মাইলফলক স্পর্শ করেন। এবার তামিমের আগে রেকর্ডবুকে নাম তোলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
রেকর্ডবুকে এবারও তামিমের সম্ভাবনা ছিল প্রথম ব্যাটার হিসেবে নাম লেখানোর, কিন্তু কবজির ইনজুরিতে তৃতীয় দিন চা বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। এ কারণে ৫ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হয়েছে তার।