অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে তাই আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে পারছে না দেশটি। ইতোমধ্যেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের শ্রীলঙ্কা সফর। দুই টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে জুনে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা আসার কথা থাকলেও সফর থেকে কিছুটা পিছপা হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনের পাশাপাশি শঙ্কার মুখে পড়েছে দেশটিতে এশিয়া কাপের চলতি বছরের আসর আয়োজন নিয়েও।
শ্রীলঙ্কা যদি এশিয়া কাপ আয়োজনে ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে আয়োজকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। কেননা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লম্বা সময় ধরে চলছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। ভারতে এশিয়া কাপ আয়োজিত হলে সন্দেহাতীতভাবে পাকিস্তান অংশ নেবে না আসরে।
অন্যদিকে পাকিস্তানে হলে অংশ নেবে না ভারত। আর এশিয়া কাপ যে সময় আয়োজন করা হবে, সে সময় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলবে আরব আমিরাতে।
বাকি থাকে বাংলাদেশ। যেখানে এশিয়া কাপ হলে বিনা বাধায় অংশ নিতে পারবে সবগুলো দল। আর তাই শ্রীলঙ্কার পর এশিয়া কাপের আয়োজকের দৌড়ে একমাত্র দেশ হিসেবে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ আয়োজনে পুরোপুরি তৈরি আছে বাংলাদেশ, এমনটাই জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র থেকে।
এমনকি টুর্নামেন্টটি আয়োজনে ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে নিজেদের আগ্রহের কথাও জানিয়েছে বিসিবি।
২০২১ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ভারতের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার বিষয়ে অনীহা থাকায় নতুন আয়োজক নির্ধারিত হয় শ্রীলঙ্কা।
গত বছর শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশটিতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আসরটি পিছিয়ে চলতি বছরে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেল এশিয়া কাপ।