দরজায় কড়া নাড়ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। আর মাত্র একদিন পরই শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্টটি। টেস্টকে সামনে রেখে শেষ সময়ের প্রস্তুতি সারছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
সাউথ আফ্রিকা সিরিজের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় বাগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই সিরিজেই নাজেহাল হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দুই টেস্টেরই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে গুটিয়ে যেতে হয়েছে ১০০ এর নিচে।
অন্যদিকে বল হাতে দুই টেস্টে ৩৬ টি উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের বোলাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিকূল উইকেটে বোলারদের সফলতা ঘরের মাঠের শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ধরে রাখতে চান জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সিরিজের প্রথম টেস্টেই লঙ্কানদের ২০ উইকেট বাগিয়ে নিতে চান প্রোটিয়া এই কোচ।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ সকালে বোলারদের বলেছি আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টে ৩৬ উইকেট নিয়েছি। আমার মনে হয় না এর আগে কোনো সিরিজে বাংলাদেশ এমনটা করতে পেরেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ২০ উইকেট তুলে নিতে পারব (শ্রীলঙ্কার)।’
চট্টগ্রাম টেস্টে এখন পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা খুবই কম জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ডমিঙ্গো মনে করেন সাকিবের না থাকাটা বোলিং ইউনিটের জন্য কিছুটা চাপ হয়ে আসবে।
প্রোটিয়া এ কোচ বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি বোলিং বিকল্প থাকা দরকার। সাকিব যখন খেলে না তখন এই নির্দিষ্ট জায়গায় আমরা পিছিয়ে থাকি। সে এমন একজন যে দিনে ১২-১৩ ওভার বল করে দেয়, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
চট্টগ্রাম টেস্টে স্পোর্টিং উইকেট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ডমিঙ্গো। সেই প্রেক্ষিতে পেইসারদের প্রথম দুই ঘণ্টায় দ্রুত উইকেট ফেলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা জানি দিনের প্রথম এক-দুই ঘন্টা এখানে বোলারদের জন্য কিছু থাকতে পারে। কিন্তু এরপরই এটা পেস বোলারদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়বে। আমাদের সব কিছুই আমলে নিতে হবে। এটা ভালো উইকেট দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে উইকেটে ভালো ঘাস রয়েছে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটারদের পারফরম্যান্সও ছিল বেশ দৃষ্টিনন্দন। একই ভেন্যুতে লঙ্কানদের বিপক্ষেও জাতীয় দলের ব্যাটাররা জ্বলে উঠবেন বলে আশাবাদী তিনি।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম এক দেড় ঘন্টায় বোলারদের জন্য বাড়তি কিছু ছিল। কিন্তু এরপরই ব্যাটারদের জন্য দারুণ উইকেট হয়ে পড়ে। ছেলেরা অতীতে এখানে ভালো ব্যাট করেছে। তারা চট্টগ্রামে বড় স্কোর করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হবে। এটা সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেট।’