বয়সটা মাত্র ২৬ বছর। কিন্তু এই অল্প সময়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ১৪ টেস্ট, ৭৪টি ওয়ানডে ও ৬৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। রঙিন পোশাকে মুস্তাফিজ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হিসেবে খেললেও রীতিমত অনীহা তার টেস্ট খেলা নিয়ে।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ সাদা পোশাকে দেখা গিয়েছিল কাটার মাস্টারকে। এরপর আর বনেদি ফরম্যাটে মাঠে নামেননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলা এরপর ১০ টেস্টের একটিতেও দেখা যায়নি বাঁহাতি এই পেইসারকে।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টেস্ট খেলতে অনাগ্রহী ক্রিকেটারদের কথা মাথায় রেখে বলেছিলেন, ক্রিকেটাররা বেছে বেছে ফরম্যাট খেলতে পারবেন। তবে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন বোর্ড সভাপতি কথাটি বলেছিলেন শুধুমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য।
যেহেতু মুস্তাফিজ সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকের কাতারে পড়ছেন না, সে কারণে বেছে বেছে খেলাটা তার জন্য প্রযোজ্য হবে না বলে মন্তব্য করেন সুজন।
সুজন বলেন, ‘পাপন ভাই বলেছেন ৩ মাস আগে খেলোয়াড়েরা যেটা চায় ওটা আলাপ করতেছে। এটা কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের খাতিরে বলেছে; সবার ক্ষেত্রে না। এখন জয় যদি বলে আমি ওয়ানডে খেলব টেস্ট খেলব না এটা কি ঠিক হলো নাকি? মুস্তাফিজের আসলে বয়স কত? কয়দিন ধরে খেলে? মুস্তাফিজতো সাকিব না বা তামিম না কিংবা মাশরাফি না মুশফিক না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশকে তিন ফরম্যাটে এত বছর ধরে সার্ভিস দিয়েছে। দেশের জন্য খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর টেস্ট ক্রিকেটের মতো বুনিয়াদি ফরম্যাট তো আর কিছু নাই। হয়তো আপনি বলবেন আলোর ঝলকানি, টাকা পয়সা সেটা সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেট তো একটা বুনিয়াদি খেলা। মুস্তাফিজ কেন খেলতে চায় না আমি জানি না। আমার মতে বোর্ডের সাথে শেয়ার করা উচিত।’
সুজনের মতে নির্দিষ্ট একটি ফরম্যাট থেকে বিশ্রাম নেয়ার সময় এখনও মুস্তাফিজের হয়নি। এখন তিনি যদি সাকিব, তামিমদের মতো বিরতি চান তাহলে সেটি বেমানান হবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
সুজনের মতে, মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারের এখন ‘পিক টাইম’। আর সে কারণেই এখন তার তিন ফরম্যাটেই খেলা উচিত।
সুজন বলেন, ‘আমরা জানি সাকিবের ব্রেক দরকার। সাকিবের বয়স ৩৫, তামিমদের ৩৪-৩৫। ওদের তো একটা ব্রেক দরকার। তাদের এটা প্রাপ্য। লিটন দাস তো এটা ডিজার্ভ করে না। লিটন দাস যদি সাকিব, তামিম হতো তাহলে আমি বলতাম লিটন দাসও ডিজার্ভ করে। মুস্তাফিজ এখন ২৬-২৭ বছর বয়সী। আমাদের ক্রিকেটের ভাষায় একটা ছেলের এটা পিক টাইম।’
‘মানে হাড্ডি, মাড্ডি (হাড়) ভাঙবে না, ঝুঁকি কম। সুতরাং আমি মুস্তাফিজকে বলতে পারি তুমি বাংলাদেশের সব টেস্ট ম্যাচ খেলো। মুস্তাফিজের অন্তত ৬-৮ বা ১০টা টেস্ট খেলা উচিত। সেটা করলে আমরা রোটেট করতে পারব’, যোগ করেন তিনি।