দুর্নীতির দায়ে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে টেনিস কিংবদন্তি বোরিস বেকারকে। দেউলিয়া আইনে সাবেক এই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এই সাজা দেয় স্পেনের আদালত।
একটি ট্রাস্ট থেকে আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড ঋণ নিয়েছিলেন বোরিস। সে অর্থ ফেরত না দিতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন সাবেক এই টেনিস তারকা।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের জুনে তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। পাঁচ বছর পর আদালতে দোষী প্রমাণ হন বোরিস।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক ডোবেরা টেলর বলেন, ‘এ ঘটনায় বোরিসের কোনো অনুশোচনা ছিল না। তিনি অভিযোগ মেনে নেননি।’
জার্মানিতে ২০০২ সালে কর ফাঁকির মামলার প্রসঙ্গ টেনে বিচারক বলেন, ‘আপনাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আপনি গুরুত্ব দেননি। আপনাকে যে সুযোগ দেয়া হয়েছিল সেটি কাজে লাগাননি।
‘আপনি আপনার অপরাধ লুকাতে নিজেকে দেউলিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এটা করে আপনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।’
আইনে ঋণের অর্থ পরিশোধ করলে না পারলে, ঋণগ্রহীতার সব সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে পাওয়া পরিশোধ করা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন ৫৪ বছরের বোরিস।
তবে ভাগ্য সহায় ছিল না। তদন্তে চলতি মাসে বেড়িয়ে আসে সম্পদ গোপন রাখার বিষয়টি।