পারিবারিক কারণে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরার পর ডিপিএলের সুপার লিগে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। তার দলের বড় পরীক্ষা ছিল রোববার, হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে।
শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে সাদামাটা ছিলেন সাকিব। হেরেছে তার দলও। আবাহনীর কাছে ৮১ রানে হেরেছে মাশরাফি-সাকিবের রূপগঞ্জ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত। প্রথমে ব্যাট করে আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেনের ফিফটিতে বোর্ডে ৭ উইকেটে ২৭৯ রান যোগ করে আবাহনী। জবাবে ৪১.৫ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয় লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ।
ধানমন্ডির জায়ান্টদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন নাজমুল। জাতীয় দলের আরেক রিক্রুট আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৬২। সঙ্গে সাইফউদ্দিনের ৩০* ও সৈকতের ২৮ রানে বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী।
রূপগঞ্জের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন সাকিব। ১০ ওভার বল করেন এ চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ৫৩ রান দিয়ে নেন নাজমুল, সৈকত ও তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা ৫৬ রানে নেন ১ উইকেট। আর আল আমিন হোসেন ৩৭ রানে নেন ২টি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হতাশ করে রূপগঞ্জের ব্যাটিংলাইন আপ। বল হাতে সফল সাকিব ব্যাট হাতে করেন ৩ রান।
২২.৩ ওভারে ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রূপগঞ্জ। এরপর চিরাগ জানি, তানবির হায়দার ও মুক্তার আলির ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে তারা।
আবাহনীর পক্ষে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন মোসাদ্দেক সৈকত। ৩৫ রানে ৩টি শিকার ছিল তানভির ইসলামের।
এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে আছে আবাহনী। হারের পরও ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রূপগঞ্জ।
একই দিন প্রাইম ব্যাংকের কাছে হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট ব্যবধান বাড়াতে পারেনি শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তাদের ঝুলিতে আছে ২২ পয়েন্ট।
বিকেসপিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩২ রান করে শেখ জামাল। জবাবে তামিম ইকবালের অনবদ্য ৯০ রানের ইনিংসে ৫৮ বল ও ৮ উইকেট অক্ষত রেখে জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।