ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নামলে সবসময়ই একটা দ্বন্দ্ব পড়তে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। স্পিন পিচ বানানো উচিত না সিমিং ট্র্যাক? বিশেষ করে উপমহাদেশের স্পিন আক্রমণে শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট ব্যবহার করে আগে বেশ কয়েকবার ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সামনে আসছে স্পিন শক্তি নির্ভর শ্রীলঙ্কা। তাদের বিপক্ষেও ট্র্যাক কেমন হবে সেটা নিয়ে বেশ চিন্তিত বোর্ড। জাতীয় দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজার মতে বাংলাদেশেরও যেহেতু স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী তাই স্পিন ট্র্যাক করা উচিত।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পিনাররাও ভালো এই উইকেটে। যদি টেস্ট ম্যাচ জেতাগুলো দেখেন, সেক্ষেত্রে দেখবেন যে আমরা বোলিং ভালো করে জিতেছি। ব্যাট করে আগে হয়তোবা ২২০-২৫০ রান করেছি। প্রতিপক্ষ হয়তো ওই রানটা তাড়া করতে পারেনি। আবার আমরা ১৫০-২০০ করে ওদের স্পিনে আটকে দিয়েছি। সুতরাং উইকেট যদি স্পিনিং হয় আমাদের স্পিনাররাও ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’
সাউথ আফ্রিকা সফরে সময়টা ভালো যায়নি বাংলাদেশের। দুই টেস্টে বেশ খারাপ ভাবে হারতে হয়েছে টাইগারদের। তবে সে হারের বৃত্ত থেকে দলকে বেরিয়ে আসার আহ্বান মাশরাফির।
তিনি বলেন, ‘যখন হোমে খেলা নিশ্চিতভাবে আমরা যে কোনো টিমের বিপক্ষে ফেভারিট। টেস্ট ক্রিকেটের সেরা দল যেমন ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয়তো নয়। তারপরও আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি, ভারতকে হারিয়েছি। শ্রীলঙ্কাকে কেন নয়? আমরা দুটা টেস্ট ম্যাচ হেরে এসেছি বাজে ভাবে যা আশা করিনি। তার মানে এই না আমরা ভালো খেলব না। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ পজেটিভ পারফরম্যান্স করবে এবং জিতবে।’
জাতীয় দল থেকে দূরে থাকলেও ডিপিএলের পুরো মৌসুম খেলেছেন মাশরাফি। ডিপিএল শেষে নিজের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানালেন তিনি।
মাশরাফি যোগ করেন, ‘আমি রিহ্যাব করতে পারছি না পিঠের কারণে। আমার তো সারা জীবনই হাঁটুর কারণে সমস্যা। ওয়েট ট্রেনিং করতে গিয়ে পিঠে ব্যাথা পেয়েছি। দুটা মিলায়ে আসলে একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোনোমতে টিকে রয়েছি এ পর্যন্ত। ৩টা ম্যাচ আছে। এরপর লম্বা বিরতি। তখন চিন্তা করব কিভাবে রিহ্যাব করা যায়।’