একটা সময় ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সামনে পাত্তাই পেত না আরেক জায়ান্ট লিভারপুল। সেই সময়টা স্থায়ী ছিল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের আমলে। কিন্তু ফার্গুসনের আমল শেষ হওয়ার পর বদলে যেতে থাকে ম্যানইউর ইতিহাস।
যে লিভারপুল পাত্তাই পেত না, তারাই চার গোল ঠুকে দিল ম্যানইউর জালে। আর এই জয়ে জৌলুস হারানো রেড ডেভিলদের হারিয়ে অল রেডরা উঠে যায় প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের পুরোটা সময় আধিপত্য ধরে খেলে লিভারপুল। সেই সুবাদে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মাঝমাঠ থেকে ডি-বক্সে থ্রু পাস দেন সাদিও মানে। সেখান থেকে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় ছয় গজ বক্সে বাড়ান মোহাম্মদ সালাহ। আর জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোলের খাতা খোলেন কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড দিয়াস।
২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সালাহ। আর সেই সুবাদে তার কাটে গোল খরা। প্রিমিয়ার লিগে টানা ছয় ম্যাচ পর গোলের দেখা পেলেন মিসরীয় এ ফরোয়ার্ড।
৩৩ মিনিটে কর্নার পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি ম্যানইউ। ৩৫ মিনিটে রেড ডেভিলরা গোলের দেখা পেলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেটি।
দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ কিছুটা ধীরলয়ে শুরু করে অল রেডরা।
৬৮তম মিনিটে স্কোর বোর্ডে ব্যবধান বাড়ে সাদিও মানের কল্যাণে। বাম দিক থেকে দিয়াসের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে জোরালো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সেনেগালের এ ফরোয়ার্ড।
আর ম্যানইউর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সালাহ। ৮৫ মিনিটের মাথায় দিয়োগো জোতার পাস থেকে দুর্দান্ত এক গোলে ৪-০ করেন স্কোরলাইন।
এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যান সিটিকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে উঠে এসেছে লিভারপুল।
শীর্ষে ওঠা লিভারপুলের ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে পয়েন্ট ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৭৪। ৩০ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে চেলসি।