শেরে বাংলার ধানক্ষেতের বদনাম পুরোনো। রহস্যময় এই উইকেট প্রায়শই বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায় খেলোয়াড়দের কাছে। কোনো এক অজানা কারণে কোনোভাবেই মান বাড়ানো যাচ্ছে না।
এই উইকেটে ভালো খেলে বিশ্বমানের স্পোর্টিং উইকেটে গিয়ে ভিমড়ি খেতে দেখা গেছে জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারকে। বেগ পোহাতে হয়েছে বিদেশিদেরও।
ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিশ্লেষকদের শত আকুতির পরও বদল আসেনি হোম অফ ক্রিকেটের উইকেটে। মাটি বদলে এক প্রকার দায়সারা ভূমিকায় দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের।
শেরে বাংলার ‘ধানক্ষেতে’ খেলতে গিয়ে প্রায় সময়ই মেজাজ হারান ক্রিকেটাররা। কারণ লম্বা সময় ধরে খেলার পরও উইকেট থিতু হয় না। রহস্যময় আচরণ করতে দেখা যায় উইকেটকে। কখনো বল লাফিয়ে উঠছে, আবার কখনও তার উল্টো।
এমন পরিস্থিতিতে শেরে বাংলায় চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে রূপগঞ্জ টাইগার্স।
৪৮ রানে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন মোহামেডানের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় একাই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
বিপত্তি বাধে ম্যাচের ৩৭তম ওভারে। এনামুল হক জুনিয়রের একটি গুড লেন্থের বলে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।বল নিচু হয়ে যাওয়ার কারণে কাট শট খেলতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। মাঠ ছাড়ার সময় তাই তাকে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে গ্রাউন্ডসম্যানের ওপর।
রিয়াদকে গ্রাউন্ডসম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায়, ‘কি উইকেট বানান, এতক্ষণ ব্যাটিং করার পরও বল এমন আচরণ করে।’
এখানেই শেষ নয়। ঢোকার সময় সজোরে লাথি মেরে বসেন ড্রেসিংরুমের দরজায়।