১৯৫০ সাল। ডারবানে সিরিজের স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। সাউথ আফ্রিকার করা প্রথম ইনিংসে ৩১১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় তারা।
অজিদের ১০০ এর নিচে গুটিয়ে দেয়ার মূল নায়ক ছিলেন দুই স্পিনার। নরম্যান মান ও হিউজ টাইফিল্ড। টাইফিল্ড ৭ ও নরম্যান ৩ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন ব্যাটিং লাইন আপ।
যদিও সেই ম্যাচে জয়ের দেখা মেলেনি সাউথ আফ্রিকার। অজি ব্যাটার নেইল হার্ভির অতিমানবীয় অপরাজিত ১৫১ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার পতন ঘটা পাঁচ উইকেটের সবকয়টিই নিয়েছিলেন টাইফিল্ড ও নরম্যান।
সেই ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় সাত দশক। এই সময়ের ভেতর প্রোটিয়ারা দেখাতে পারেনি এমন স্পিন আক্রমণ।
তবে ৭২ বছর পর বাংলাদেশের হাত ধরে পুনরাবৃত্তি ঘটলো ইতিহাসের। ২০২২ সালে এসে সেই ১৯৫০ সালে ফিরে গেল সাউথ আফ্রিকা। কেননা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২০ রানের বড় জয়ের পেছনে মূল নায়ক হিসেবে রয়েছেন দুই স্পিনার।
সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ৫৩ রানে। আর বাংলাদেশকে এই অল্প রানে আটকে দেয়ার মূল কারিগর কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার। এই দুই স্পিনার ভাগাভাগি করে শিকার করেছেন বাংলাদেশের ১০ ব্যাটারকে। এর মধ্য দিয়ে ৭২ বছর পর প্রতিপক্ষের নেয়া ১০ উইকেটের সবকয়টিই গেল প্রোটিয়া স্পিনারদের ঝুলিতে। সর্বশেষ এই ঘটনা সাউথ আফ্রিকা ঘটিয়েছিল সেই ১৯৫০ এ।
তবে প্রোটিয়া স্পিনারদের এই কীর্তি নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছিল আরও বেশ কয়েকবার।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রোটিয়া স্পিনার অ্যাথল রোয়্যান ও টাফটি ম্যানের স্পিন বিষে ২৫৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংলিশরা। রোয়্যান নিয়েছিলেন ৬ উইকেট আর টাফটির ঝুলিতে গিয়েছিল চার উইকেট।
এরপর ১৯৫০ এ অস্ট্রেলিয়া। আর সবশেষ ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
তবে এর আগের স্পিনারদের ১০ উইকেট নেয়া সবগুলো ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছিল প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের বিপক্ষেই প্রথম স্পিনার দিয়ে ১০ উইকেট পাওয়া ম্যাচে জয়ের মুখ দেখলো সাউথ আফ্রিকা।