জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে ৩৪৮ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই পাহাড় ডিঙিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ইমাম উল হক ও বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট হারিয়ে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে হোঁচট খায় অজিরা। দলীয় ১ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর ইনিংস মেরামতের গুরুভার কাঁধে তুলে নেন ট্রাভিস হেড ও বেন ম্যাকডরমট। দু’জনের গড়া ১৬২ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে সফরকারীরা।
থিতু হওয়া এই জুটি ভাঙেন জহিদ মাহমুদ, শাহিন আফ্রিদির তালুবন্দি করে হেডকে ৮৯ রানে ফেরানোর মধ্য দিয়ে।
সঙ্গীর বিদায়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে লড়াই চালিয়ে যান ম্যাকডরমট। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। সঙ্গে নেন মার্নাস ল্যাবুশেনকে।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর বেশিদূর যাওয়া হয়ে ওঠেনি ম্যাকডরমটের। ওয়াসিম জুনিয়রের শিকার হয়ে ১০৪ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এরপর ল্যাবুশেনের ৫৯, মার্কাস স্টয়নিসের ৪৯ এবং শেষদিকে শন অ্যাবটের ২৮ রানে ভর করে পাকিস্তানের সামনে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অজি বোলারদের ওপর চড়াও হন পাকিস্তানি দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক। দু’জনের শতরানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় স্বাগতিকরা।
দলীয় ১১৮ রানে ফখর মাঠ ছাড়লেও উইকেট কামড়ে ধরে ব্যাট চালাতে থাকেন ইমাম উল হক। তুলে নেন ব্যাক টু ব্যাক দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রানের ভিত গড়ে দেয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাবর আজমের সঙ্গে মিলে গড়েন ১১০ রানের জুটি।
১০৬ রানে ইমামকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন জাম্পা। ইমামের পর সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর আজমও। এই দুইজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে রান পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকে পাকিস্তান।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলীয় ৩০৯ রানে যখন বাবর বিদায় নেন দল তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ মিলে বাকি কাজটা সারেন। ৬ বল হাতে রেখেই তারা দলকে এনে দেন ৬ উইকেটের অসাধারণ এক জয়।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই জয়ের সুবাদে ১-১ সমতা আনল পাকিস্তান।