দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট তুলে নেয়ার পর তৃতীয় সেশনের শুরুতে প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানলেন এবাদত হোসেন। রায়ান রিকেলটনকে মুমিনুল হকের তালুবন্দি করে ২১ রানেই থামিয়ে দিলেন এই পেইসার। এতে করে ১৮০ রানে পতন হলো স্বাগতিকদের চতুর্থ উইকেটের।
ডারবানে উইকেটশূন্য প্রথম সেশন কাটানোর পর দ্বিতীয় সেশনে কামব্যাক করে বাংলাদেশ। একে একে সাউথ আফ্রিকার ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে সফরকারী দল।
বোলারদের ব্যর্থতায় প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন উইকেটশূন্য কেটেছে সফরকারী দলের। মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৯৫।
কিংসমিডের প্রাণবন্ত ও বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশের বোলাররা খেই হারিয়েছে। কখনও বাউন্সারের আশায় শর্ট বল, কখনও বা সুইংয়ের আশায় ফুল লেংথ বল করেছেন এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।
যার পূর্ণ ফায়দা নেন দুই সাউথ আফ্রিকান ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই। উদ্বোধনী জুটিয়ে অনায়াসে শত রান যোগ করেন গড়েন দুই ব্যাটার।
ক্যারিয়ারের ২০তম টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করার পর আউট হন এলগার। খালেদ আহমেদের বলে ৬৭ রানে এলগারের বিদায়ে ভাঙে ১১৩ রানের জুটি।
এরপরই আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। তার বলে প্লেইড অন হন সারেল এরউই। সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১১৭।
টানা দুই উইকেট হারানোর পর কিগান পিটারসেন ও কাগিসো রাবাডা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে এ জুটিকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ।
১৯ রান করে পয়েন্ট থেকে মেহেদী মিরাজের ডিরেক্ট থ্রোতে রানআউট হন পিটারসেন। সাউথ আফ্রিকা হারায় তাদের তৃতীয় উইকেট।
এরপর চা বিরতি থেকে ফিরে বেশিদূর উইকেটে থাকা সম্ভব হয়নি রিকেলটনের। এবাদতের লেন্থ বল মিড অনে পুল করে মুমিনুলের হাতে ধরা দেন তিনি। সেই সুবাদে ২১ রানে থেমে যেতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটারকে।