অপরাজিত থেকে বাছাইপর্ব শেষ করল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের মাটিতে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের (কনমেবোল) শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। এতে করে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইল মেসির দল।
২০১৮ বিশ্বকাপের আগে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল ইকুয়েডরের। ডু-অর-ডাই ওই ম্যাচে লিওনেল মেসি হ্যাটট্রিক করে দলকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে তুলেছিলেন।
চার বছর পর ইকুয়েডরের মাঠে হ্যাটট্রিক পাননি মেসি। তবে, তার ম্যাজিক অব্যহত ছিল মাঠে। আর্জেন্টিনার করা গোলের উৎস ছিলেন ৭ বারের ব্যালন ডর জয়ী।
কোভিডের কারণে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ মিস করা লাউতারো মার্তিনেস এ ম্যাচেও ছিলেন না। মেসির সঙ্গে আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ নিকো গনসালেস ও রিভার প্লেটের নতুন তারকা হুলিয়ান আলভারেস।
নতুন হলেও ম্যাচে নিজের মুন্সিয়ানার ছাপ রাখেন আলভারেস। ২৪ মিনিটে মেসির বাড়ানো বল ইকুয়েডরের বক্সে পেয়ে যান নিকোলাস তালিয়াফিকো।
তার নিচু ক্রসে জোরালো শট নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন আলভারেস।
গোল হজম করার পর সম্বিত ফিরে পায় স্বাগতিক দল। টানা আক্রমণ করে ফেভারিটদের চাপে ফেলে তারা। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আলবিসেলেস্তেরা।
বিরতির পরও খুব একটা পাল্টায়নি ম্যাচের চিত্র। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেনে মেসি ও রদ্রিগো দে পল। তবে স্ট্রাইকারদের গোল মিসের কারণে লিড বড় করতে পারেনি সফরকারীরা।
অন্যদিকে, ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। ৯০ মিনিটের সময় নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস তালিয়াফিকো। ভিডিও অ্যাসিস্টেন্টের সাহায্যে রেফারি পেনাল্টি দেন।
স্পট থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি এনার ভালেনসিয়া। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।
ড্রয়ের পরও কনমেবোলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করল আর্জেন্টিনা। ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট সংগ্রহ আলবিসেলেস্তেদের। শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের চেয়ে তারা পিছিয়ে ৬ পয়েন্টে।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সঙ্গে কনমেবোল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে উরুগুয়ে ও ইকুয়েডরও। পঞ্চম স্থানে থাকা পেরুকে প্লে-অফ খেলতে হবে ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে।