ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আবারও জয়শূন্য থাকল বাংলাদেশ। মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে স্বাগতিক দল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের ম্যাচে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় জয় বঞ্চিত থাকে বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের স্ট্রাইকিং ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দেন দেশসেরা ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন। কথা রাখতে পারেননি তিনি। কথা রাখেনি তার দলও।সিলেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আরও প্রকট হয়ে দেখা দেয় গোলমুখে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। সহজ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। গোল করতে পারেনি মঙ্গোলিয়াও। ফলে গোলহীন ম্যাচ দেখতে হয়েছে স্টেডিয়ামে হাজির হাজার পনের দর্শককে।
কাগজে কলমে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল মঙ্গোলিয়া। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুইধাপ এগিয়ে মঙ্গোলরা। তবে মাঠে তার কোনো প্রতিফলন ছিলো না। পুরোটা সময় মঙ্গোলিয়াকে চাপে রেখেছে জামাল ভূঁইয়ার দল।একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখে মঙ্গোলিয়ান রক্ষণভাগকে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটে সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে ইব্রাহিমের বাড়ানো বলে ডি বক্সে ঢুকে বাঁ-দিকে জোরাল শট নেন রাকিব হোসেন। তার শট ঠেকিয়ে দেন মঙ্গোলিয়ার গোলকিপার মনখ-এরদেন এনখতাইভান।খেলার ১০ মিনিটে আবার আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। এবার সেটা প্রতিহত করে সফরকারী দলের ডিফেন্স।
শুরুর দিকে বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণাত্মক হতে থাকে মঙ্গোলিয়াও। তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ বাংলাদেশের ডিফেন্স ঠেকিয়ে দেয়।৪০ মিনিটে জামালের ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয় স্বাগতিকদের। ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে যান সুমন রেজা। তার শট বারে লেগে ফিরে আসলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। সুমন বঞ্চিত হন নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গোল থেকে।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে জামালের বাড়ানো শটে আবারও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন সুমন রেজা। ফলে গোল শূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ছোট ছোট পাসে বারবার জীবনরা ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের বক্সে। কিন্তু জালের দেখা পায়নি স্বাগতিক দল। ফলে ম্যাচ শেষে স্কোরবোর্ডে দুইদলের নামের পাশেই ছিল শূন্য।
মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলের হারের ৫ দিন পর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে জয় শূন্য থাকল বাংলাদেশ। দায়িত্ব পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেননি হাভিয়ের কাবরেরা।