স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিসিবির আয়োজিত সাবেক ক্রিকেটারদের প্রীতি ম্যাচে প্রথমবারের মতো আম্পায়ার হিসেবে দেখা গেছে দুই নারী আম্পায়ারকে। এদের একজন ছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার, আরেকজন ছিলেন থার্ড আম্পায়ার।প্রথমবার হলেও তারা আম্পায়ারিং দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার। বেশ সাবলীলভাবেই ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা গেছে দুজনকেই।প্রথমবারই যেন শেষবার হয়ে না থাকে তেমনটা প্রত্যাশা অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা সাথিরা জাকির জেসির। জাতীয় নারী দলের সাবেক এই ক্রিকেটারের লক্ষ্য বিশ্বকাপের আসরে আম্পায়ারিং করা।জেসি বলেন, ‘২০০৯ সালে জাতীয় দলে থাকতে আমি, সালমা, পান্না থেকে শুরু করে সবাই আম্পায়ারিং কোর্স করেছি। ২০২২ সালে এসে আমরা কাজ করার সুযোগ পেলাম বা শুরুটা করলাম। অবশ্যই আম্পায়ারিং করার লক্ষ্য আছে। মেয়েদের বিশ্বকাপে ম্যাচ রেফারি আছে, আম্পায়ার মেয়েরা। এমনকি ছেলেদের ক্রিকেটে এখন মেয়ে আম্পায়ার আছে।’পুরো ম্যাচে নিজের দায়িত্ব বেশ উপভোগ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার। শুরুতে নার্ভাস থাকলেও পরে সেটি কেটে গেছে বলে জানান তিনি।জেসি বলেন, ‘একটু নার্ভাস ছিলাম যে নান্নু ভাইরা খেলবে, রফিক ভাইরা খেলবে। তাদের খেলা দেখে ক্রিকেটার হয়েছি, বড় হয়েছি। তাদের ম্যাচে আম্পায়ারিং করব এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা ব্যাপার। রোমাঞ্চের সঙ্গে নার্ভাসনেসও কাজ করেছিল।’স্কুল ক্রিকেটে নারী ক্রিকেটারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার সিদ্ধান্ত ক্রিকেট ছাড়ার পর নারী দলের কাজে আসবে বলেও মনে করেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের অবসরের পর ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রবণতা বাড়বে বলে আশা করছেন জেসি।তিনি বলেন, ‘বিসিবি মেয়েদের আম্পায়ারিংটা ভালোমতো শুরু করতে চাইছে। তেমন হলে মেয়েদের জন্য ক্রিকেট ছাড়ার পর বিকল্প বেড়ে গেল। যার যেখানে প্যাশন সে সেটা নিয়ে কাজ করবে। বিসিবি মেয়ে স্কোরার খুঁজছে। অনেক আম্পায়ার আনতে চাচ্ছে। মেয়ে ম্যাচ রেফারি আনবে। সব মিলিয়ে মেয়েদের জন্য জায়গাটা অনেক বেড়েছে।’
বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করতে চান জেসি
প্রথমবারই যেন শেষবার হয়ে না থাকে তেমনটি প্রত্যাশা অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা সাথিরা জাকির জেসির। জাতীয় নারী দলের সাবেক এই ক্রিকেটারের লক্ষ্য বিশ্বকাপের আসরে আম্পায়ারিং করা।
-
ট্যাগ:
- নারী ক্রিকেট
এ বিভাগের আরো খবর/p>