দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল (কনমেবোল) থেকে আগেই বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। তাই নিজ মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নির্ভার ছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা।
বুয়েনোস আইরেসের বিখ্যাত লা বোম্বোনেরা স্টেডিয়ামে সহজ জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে স্বাগতিকদের জয় নিয়ে তেমন একটা শঙ্কা ছিল না, যতটা ছিল লিওনেল মেসিকে নিয়ে। আর্জেন্টিনার তালিসমান মাত্রই ফ্লু থেকে সেরে উঠেছেন। অসুস্থতার কারণে পিএসজির সবশেষ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি।
তাই অধিনায়ক কেমন খেলেন বা আদৌ পুরো ৯০ মিনিটে খেলেন কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল আর্জেন্টিনা ফ্যানদের। তাদের সব শঙ্কা ধুয়েমুছে ফেলে পুরো ৯০ মিনিত খেলেছেন মেসি। উপহার দিয়েছেন মন্ত্রমুগ্ধ ফুটবল। গোলও পেয়েছেন।
বোকা জুনিয়র্সের এ স্টেডিয়ামে মেসির সঙ্গে আক্রমণভাগে ছিলেন হোয়াকিন কোরেয়া ও নিকো গনসালেস। ম্যাচে শুরু থেকে দেখা যায় মেসি ম্যাজিক।
প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা ৩৫ মিনিটে। রদ্রিগো দে পলের অ্যাসিস্ট থেকে স্কোর করেন নিকো গনসালেস। ওই এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ক্ষুরধার ছিলেন মেসি। অনবদ্য ড্রিবলে বারবার ফাঁকি দেন ভেনেজুয়েলা ডিফেন্সকে।
ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করলেও লিড দ্বিগুণ করতে কিছুটা সময় নিয়ে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। ৭৯ মিনিটে আনহেল দি মারিয়া আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন।
এবারও অ্যাসিস্ট ছিল রদ্রিগো দি পলের।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট সাতেক আগে আর্জেন্টিনার বড় জয় নিশ্চিত করেন মেসি। এবারে দি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে একেবারে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বসেরা এ ফুটবলার।
৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩০ মার্চ ইকুয়েডরের বিপক্ষে নামবে তারা।
১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে কনমেবোল অঞ্চলে দুই নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। দুই দল বাছাইপর্বে এখনও অপরাজিত আছে।