২০১৪ সালে তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। ভারতের বিপক্ষে আট বছর আগে নিজের অভিষেক রাঙান ৫ উইকেট দিয়ে। এখন পর্যন্ত সেটিই তাসকিনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং হিসেবে জ্বলজ্বল করছে।
৮ বছর আগের মিরপুরের সেই স্মৃতি তাসকিন ফিরিয়ে আনলেন সেঞ্চুরিয়নে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কাগিসো রাবাডাকে ফিরিয়ে তাসকিন তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট।সিরিজের শেষ ম্যাচে তাসকিনের বোলিং তোপের সামনে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দিনের শুরুটা তাসকিন করেন কাইল ভেরেইনিকে ফেরানোর মধ্য দিয়ে।
এরপর একে একে তাসকিনের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইয়ানেমান মালান, ডেভিড মিলার, ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস ও কাগিসো রাবাডাকে। আর এতে করে ৮ বছর পর পাঁচ উইকেটের দেখা পান ডানহাতি এই পেইসার। ৩৫ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
আর সব মিলিয়ে কোনো বাংলাদেশি পেইসার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন ৩ বছর পর। সবশেষ ২০১৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ৫ উইকেট নেন।
সাউথ আফ্রিকার মাটিতে বিদেশি কোনো পেইসার ১০ বছর পর পেলেন ৫ উইকেট। এর আগে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা ২০১২ সালে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৫ উইকেট পান।
দুর্দান্ত অভিষেকের পর ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় তাসকিনকে লড়াই করতে হয়েছে ইনজুরির সঙ্গে। সব বাধা কাটিয়ে নিজেকে প্রমাণ করলেন তিনি।গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে ফিটনেসের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। আর এ বছর বিশ্বকাপের আগে সেরা ছন্দে ফেরার আভাস দিলেন তিনি।ইনিংস শেষে সাউথ আফ্রিকার ব্রডকাস্টারদের দেয়া সাক্ষাৎকারে তাসকিন বলেন বেসিক ঠিক রেখে বল করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
তাসকিন যোগ করেন, ‘লাইন-লেংথ ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বাউন্স পাচ্ছিলাম। সেটার সঙ্গে সিম বোলিং করার চেষ্টা করেছি। ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করতে কোচরা যা শিখিয়েছেন সেটা কাজে লাগিয়েছি। আমি মনে করি এই কারণে সফলতা পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।’
এখন পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে বাদে সীমিত ওভারের ক্যারিয়ারে ৪৭ ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন। বিনিময়ে ঝুলিতে পুরেছেন ৬২টি উইকেট।