তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাউথ আফ্রিকাকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলে আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে দুই শর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় সফরকারী দল।
জোহানেসবার্গের গতিশীল উইকেটে স্বাগতিক পেইসারদের গতি ও বাউন্স সামলাতে হিমশিম খেতে হয় টাইগার ব্যাটারদের।
ইনিংসের শুরুতে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। লুঙ্গি এনগিডির শর্ট লেংথ বল সামলাতে না পেরে পয়েন্টে তাবরেইজ শামসির হাতে ক্যাচ দেন তামিম। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার সময় তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
পরের ওভারে কাগিসো রাবাডার শট বল খেলতে না পেরে কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। তার ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি।
ইনফর্ম লিটন দাস লড়াইয়ের চেষ্টা করেন কিছুক্ষণ। তবে অষ্টম ওভারের প্রথম বলে রাবাডার ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকেও।
১৫ রান করে বিদায় নেন লিটন। ইয়াসির রাব্বি ও মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরপরই আউট হন তারা।
১২তম ওভারের শেষ বলে ২ রান করা রাব্বিকে আউট করেন রাবাডা। আর পরের ওভারে অভিজ্ঞ মুশফিক বিদায় নেন ওয়েইন পারনেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
অর্ধেক লাইনআপের বিদায়ের পর দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন আফিফ হোসেন।
৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজন ৬০ রান যোগ করে উইকেটের পতন থামান। তবে দলীয় ৯৪ রানে মাহমুদুল্লাহ বিদায় নিলে ভাঙে জুটি।
২৮তম ওভারের প্রথম বলে তাবরেইজ শামসির ডেলিভারিতে আউট হন ২৫ রান করা মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় জুটিটি আসে এরপর। ৭ম উইকেটে ৮৬ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো পুঁজির দিকে নিয়ে যান আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে আউট হন আফিফ। তার ৭২ রানের ইনিংসটি ছিল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। মিরাজ আউট হন ৩৮ রান করে।
এই দুজনের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
সাউথ আফ্রিকার পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন রাবাডা। ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেন এ ফাস্ট বোলার। ১টি করে উইকেট নেন এনগিডি, তাবরেইজ শামসি, ফন ডার ডুসেন ও ওয়েইন পারনেল।