দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ। ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলকে সামাল দিচ্ছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজ।
সপ্তম উইকেটে হাফ সেঞ্চুরি জুটির গড়েছেন দুই ব্যাটার। আফিফ পূর্ণ করেছেন তার দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটি।
শুরুতে স্বাগতিক পেইসারদের গতি ও বাউন্সের সামনে হিমশিম খান টাইগার ব্যাটাররা।
জোহানেসবার্গের গতিশীল উইকেটে শুরুতে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। লুঙ্গি এনগিডির শর্ট লেংথ বল সামলাতে না পেরে পয়েন্টে তাবরেইজ শামসির হাতে ক্যাচ দেন তামিম। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার সময় তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
পরের ওভারে কাগিসো রাবাডার শট বল খেলতে না পেরে কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। তার ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি।
ইনফর্ম লিটন দাস লড়াইয়ের চেষ্টা করেন কিছুক্ষণ। তবে অষ্টম ওভারের প্রথম বলে রাবাডার ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকেও।
১৫ রান করে বিদায় নেন লিটন। ইয়াসির রাব্বি ও মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরপরই আউট হন তারা।
১২তম ওভারের শেষ বলে ২ রান করা রাব্বিকে আউট করেন রাবাডা। আর পরের ওভারে অভিজ্ঞ মুশফিক বিদায় নেন ওয়েইন পারনেলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে।
অর্ধেক লাইন আপের বিদায়ের পর দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন আফিফ হোসেন।
৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুইজন ৬০ রান যোগ করে উইকেটের পতন থামান। তবে দলীয় ৯৪ রানে মাহমুদুল্লাহ বিদায় নিলে ভাঙ্গে জুটি।
২৮তম ওভারের প্রথম বলে তাবরেইজ শামসির ডেলিভারিতে আউট হন ২৫ রান করা মাহমুদুল্লাহ।
এরপর উইকেটে টিকে লড়াই শুরু করেন আফিফ ও মিরাজ। ৭ম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেছেন দুইজন।
৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫১।