তৃণমূল পর্যায়ে খেলোয়াড় বাছাই কর্মসূচিতে বগুড়ায় ৫০৫ জনের আবেদন সংগ্রহ করা হয়। পরে শহরের শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাছাই কার্যক্রমে অংশ নেন বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলার তরুণরা।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম করেছে।
বাছাইয়ে নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন বিকেএসপির বিভিন্ন খেলা বিভাগের ১০ জন কোচ। নির্বাচকরা জানান, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ ও নিবিড় প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ কার্যক্রমের অধীনে ১৮টি ক্রীড়া বিভাগ, যথা- আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, বাক্সেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, জুডো, কারাতে, শুটিং, তায়কোয়ান্দো, টেবিল টেনিস, ভলিবল, উশু ও কাবাডি খেলায় ১২-১৩ বছর এবং বক্সিং, জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার ও টেনিস খেলায় অনূর্ধ্ব ৮ থেকে ১২ বছরের ছেলেমেয়েদের নির্বাচন করা হবে।
এসব খেলায় দেশ থেকে মোট এক হাজার জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হচ্ছে। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় নির্বাচিত এক হাজার জনকে নিয়ে বিকেএসপি ঢাকা এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।
তাদের মধ্যে থেকে আবার ৪০০ জনকে বাছাই করে পুনরায় দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই শিবিরে প্রশিক্ষণ হবে দুই মাস।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেন বগুড়ায় আগত নির্বাচক দলের সদস্য ও বিকেএসপির হকি খেলার কোচ মো. আলমগীর হোসেন।
ফুটবল কোচ ও নির্বাচক আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, ‘বগুড়ায় আমরা এসেছি খেলোয়াড়দের নামগুলো সংগ্রহ করতে। তাদের আবেদনপত্র নিয়ে যাচ্ছি। বাছাই হলে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে তাদের ডাকা হবে।’
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও নওগাঁ মিলে ৫১২ জন আবেদন করলেও ৫০৫ জনের নাম সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য সাত জন আসেনি।’
ক্রিকেটে ২৫৯, ফুটবলে ১৬৬ ও অন্য খেলায় ৮০ জনের নাম দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদের মধ্যে ৮০ জন মেয়ে।
আলমগীর বলেন, ‘তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছি। তারপর আমরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করব। এতে করে আমরা খুব নিবিড়ভাবে মেধা যাচাই করতে পারি।’
বিকেলে স্টেডিয়ামে কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই চান এমন আয়োজন জেলাভিত্তিক হোক। এমনকি সম্ভব হলে উপজেরা পর্যায়েও করা উচিত।
নির্বাচকরাও অবশ্য সামনের দিনগুলোতে জেলাভিত্তিক বাছাই করার কথা জানান।