সাউথ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম জয়ের ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারে শেষে ৩৮ রান দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এমন খরুচে বোলিংয়ের পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও হাত ঘুরাতে হয়। পরে মিরাজের ওপর ভরসা রাখেন তামিম ইকবাল।
তার ভরসার প্রতিদান দিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। পরের ৫ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে প্রথম জয়ের ইতিহাসে অবদান রাখেন মিরাজ।
তবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিংয়ে নামার পর মিরাজের প্রথম চার ওভারে খরুচে বলের পর বিকল্প খুঁজতে হয় অধিনায়ক তামিমকে। তাকে বিরতি দিয়ে অন্য বোলারদের হাতে বল দিতে হয় তাকে। পরে নিজেই এসে অধিনায়কের কাছে বল চান মিরাজ। এমন আত্মবিশ্বাস দেখে বল দিতে কার্পণ্য করেননি তামিম।
এ প্রসঙ্গে তামিম ম্যাচ শেষে বলেন, “আমি মনে করি, সব দলে মিরাজের মতো চরিত্রের প্রয়োজন আছে। কারণ প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান (আসলে ৩৮ রান) দেয়ার পর সে আমার কাছে এসে বলে, ‘আমাকে বল দিন, আমি খেলা বদলে দেবো।’ সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল।
‘‘এটি অধিনায়কের কাজ সহজ করে দেয়, যখন আপনার খেলোয়াড়রা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী থাকে। সবসময় হয়তো আমাদের পক্ষে আসবে না, কখনও কখনও আমাদের বিপক্ষেও যেতে পারে।”
বোলিংয়ের পাশাপাশি স্লগ ওভারে ব্যাটিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন মিরাজ। ১৩ বল করেন ১৯ রান। তার অলরাউন্ডার পারফর্মে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিম। বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আত্মবিশ্বাসটা মিরাজের মধ্যে আছে। এমন চাপের মধ্যে ডানহাতির সামনে ছোট বাউন্ডারিতে বোলিং করা, উইকেট এনে দেওয়া...। আমার মতে, সেও আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’
মিরাজের পাশাপাশি ইয়াসিরের ইনিংস নিয়ে প্রশংসা করেন তামিম। পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে ৮২ বলে ১১৫ রান সংগ্রহ করেন এই নবাগত ব্যাটার। সাউথ আফ্রিকায় যা বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি। এর ওপর ভর করেই দেশটিতে প্রথমবারের মতো ৩০০ ছাড়ায় দল।
ইয়াসিরের ২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দলের অন্য সদস্যদের ছোট ছোট নৈপুণ্যে দলের জয় এসেছে মনে করে তামিম।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় জয়। যেভাবে দল খেলেছে তার জন্য আমি গর্বিত। ইয়াসিরের ইনিংস ছিল খুবই স্পেশাল। এর সঙ্গে ছোট ছোট কিছু ব্যাপারও ছিল। জয়ে সব কিছুরই ভূমিকা ছিল।’